• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯, ০৩:৫৩ পিএম

বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিন মৎস্য আহরণ অব্যাহত রাখার দাবি

বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিন মৎস্য আহরণ অব্যাহত রাখার দাবি
বোট মালিক সমিতির সংবাদ সম্মেলন- ছবি: জাগরণ

 

বছরের ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে মৎস আহরণ অব্যাহত রাখতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতি।

আজ সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামের ফিশারি ঘাটে বোট মালিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান বোট মালিক সমিতির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতির মহাসচিব আমিনুল হক সরকার।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সারাদেশে মৎস আহরণ পেশায় নিয়োজিত আছে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। তাদের পরিবার পরিজনসহ এই সেক্টরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অন্তত ৩ কোটি লোক মৎস আহরণ এবং বিপণনের সঙ্গে জাড়িত। অথচ বছরের অধিকাংশ সময় বঙ্গোপসাগরসহ বিভিন্ন নদীতে মৎস আহরণ বন্ধ থাকে।

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন বিষয়ক সভায় তারা জানতে পারেন, চলতি বছর সরকার ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত বাণিজ্যিক ট্রলারের সঙ্গে যান্ত্রিক মৎস্য নৌযান দ্বারা মৎস্য আহরণ বন্ধ করার চিন্তা করছে। তাছাড়া সরকারি হিসাবে ভাসান জালের ১০ থেকে ১২ হাজার মৎস্য আহরণকারী দেখানো হলেও এর সংখ্যা ৬০ হাজার বলে দাবি করেন সংগঠনের নেতারা।

সংগঠনের নেতারা বলেন, সামুদ্রিক ইলিশ মাছ ধরার জালের যে সাইজ দেয়া হয়েছে তাতে সুনির্দিষ্ট সাইজের ইলিশ মাছ ব্যতীত অন্য কোনো মাছ ধরা পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, প্রতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত জাটকার জন্য অনেকেই সরাসরি ফিশিং বন্ধ রাখেন। ইলিশের প্রজনন সময়ে মৎস্য আহরণ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগতো রয়েছেই। এই অবস্থায় ইলিশের ভরা মৌসুমে ৬৫ দিন ইলিশ মাছ আহরণ বন্ধ করে দেয়া হলে জেলেরা ধ্বংস হয়ে যাবে।

সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারণী কমিটির কাছে ৬৫ দিন মৎস্য আহরণ বন্ধের সিদ্ধান্তটি বাতিলের আবেদন জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বোট মালিক সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


সাইসে