• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০১৯, ১১:০১ এএম

যাত্রীরা আনছে অস্ত্র-গুলি-ড্রোন, ঝুঁকিতে বিমান বন্দরের নিরাপত্তা

যাত্রীরা আনছে অস্ত্র-গুলি-ড্রোন, ঝুঁকিতে বিমান বন্দরের নিরাপত্তা


বিমান বন্দরে একের পর এক ধরা পড়ছে গুলিসহ অস্ত্র, মাদক ও দাহ্য পদার্থ। শুধু তাই নয়, ধরা পড়ছে অত্যাধুনিক কাজে ব্যবহৃত ড্রোন। বিদেশে এই ড্রোন ব্যবহার করে চালানো হয় বোমা হামলার মতো নাশকতা। 

ড্রোন আমদানিতে কোন নীতিমালা না থাকায় এ ড্রোন বিমান বন্দরের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দাঁড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞ হাফিজুর রহমান কার্জন।
  
জানা গেছে, চট্টগ্রামে বিমান ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় প্রাপ্ত খেলনা পিস্তলের তদন্ত শেষ না হতেই গত ৫ মার্চ লাইসেন্স করা পিস্তল নিয়ে  রাজধানী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্ক্যানিং মেশিন পার হন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। যদিও এ নিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন যে তথ্য দেন তাকে অসত্য বলে মন্তব্য করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। সে সময় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনা শুরু হয়।

এদিকে ইলিয়াস কাঞ্চনের পিস্তল বিতর্ক শেষ না হতে না হতেই গত ৮ মার্চ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে প্রথম চেকিং পার হওয়ার পর নিজের সঙ্গে অস্ত্র থাকার কথা স্বীকার করেন মামুন আলী নামে এক যাত্রী। পরবর্তীতে যাত্রী মামুন পিস্তল ও গুলি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে নিয়ম মেনে সঙ্গে করে সিলেটে নিয়ে যান।

এরপর ঘোষণা ছাড়াই অস্ত্র নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশের অভিযোগে যশোরের চৌগাছা উপজেলার এক আওয়ামী লীগ নেতাকে বিমানবন্দরে আটক করা হয়। 

গত সোমবার সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশের সময় যশোরের চৌগাছার আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করেছে সিভিল এভিয়েশন নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা। কোনো ঘোষণা ছাড়াই অভিযোগে যশোরের চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফুলসর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ চৌধুরীকে আটক করা হয় বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
 
এ বিষয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিয়ম না মেনে ঘোষণা ছাড়া শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করায় মেহেদী মাসুদ চৌধুরীকে আটক করা হয়েছে। আমাদের এভিয়েশন নিরাপত্তা গ্রুপ এভসেক তাকে আটক করে বিমানবন্দর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। পুলিশ তার বিরুদ্ধে দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে বলে বিমান বন্দর থানা সূত্রে জানা গেছে।
 
এদিকে মাসুদ চৌধুরীকে বিমানবন্দরে আটক করার বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। সোমবার (১১ মার্চ) রাতে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাসুদ চৌধুরী ঢাকা থেকে যশোরগামী নভোএয়ারের একটি বিমানের যাত্রী ছিলেন। সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় মাসুদ চৌধুরী যশোরে যাওয়ার উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে ঢোকার সময় চেকিং পয়েন্টে পৌঁছালে তার হ্যান্ডব্যাগ স্ক্যান করার সময় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা স্ক্যানিং মেশিনে একটি পিস্তলসহ ৭ রাউন্ড গুলি শনাক্ত করে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ চৌধুরী জানান তিনি যশোরের চৌগাছার ফুলসাহারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই অবৈধভাবে পিস্তল ও গুলি হ্যান্ডব্যাগে বহনের অপরাধে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

এইচএম/এএস