• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০১৯, ০৩:২৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৯, ২০১৯, ০৩:২৭ পিএম

‘বাংলাদেশ জঙ্গি হামলার ঝুঁকিতে, তবে উদ্বেগজনক নয়’

‘বাংলাদেশ জঙ্গি হামলার ঝুঁকিতে, তবে উদ্বেগজনক নয়’
জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠি বক্তারা

নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলা ও শ্রীলংকায় সিরিজ বোমা হামলার পর বাংলাদেশও এ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) এর ডিআইজি মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ ঝুঁকি  উদ্বেগজনক পর্যায়ে  নয়।  তারপরও আমরা সতর্কাবস্থানে আছি।  আমরা এ ঝুঁকি মোকাবিলায় ভাল কাজ করতে পারবো যদি সাধারণ মানুষ আমাদের সহযোগিতা করেন। 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ)। 

বিশ্ব সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও বাংলাদেশ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, বিশ্বের যে কোনো প্রান্তেই এ ধরণের হামলার ঘটনা ঘটুক না কেন বাংলাদেশস্থ উগ্রবাদ লালনকারীরা এতে উত্তেজিত হয়, প্রভাবিত হয়, তারাও চেষ্টা করে এ ধরণের হামলা দেশে পরিচালনা করার। 

মনিরুল ইসলাম বলেন, হলি আর্টিসান হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বারবার বলেছে, এটা আইএস এর কাজ। এদের ঠেকানোর সক্ষমতা আমাদের নেই। এটা বলে তারা আমাদের দেশে ঢুকতে চেয়েছিলো।  কিন্তু আমরা বলেছি, আমাদের কাজ করতে দাও, আমরা পারবো।  বাস্তবে আমরা জঙ্গি দমন করতে পেরেছি।  এটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষ আমাদেরকে বহু সহযোগিতা করেছে বলে।  

বিশ্ব জঙ্গিবাদ উত্থানে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক শক্তির ভূমিকা আছে উল্লেখ করে সিটিটিসি এর ডিআইজি মনিরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব রাজনীতিকরা ক্ষমতা আঁকড়ে রাখা, ক্ষমতার প্রতিযোগিতায় জয়ী হবার হাতিয়ার হিসেবে বিপুল অর্থ খরচ করে এসব শক্তি সৃষ্টি করে।  বাংলাদেশেও দেখা গেছে, বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতা-প্রশ্রয় পেয়েছে। যার দরুণ বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা হয়েছে। তারা টার্গেটও করে রাজনীতিকদের। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি টার্গেট করা হয়েছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তাছাড়া সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদেরও টার্গেট করে তারা হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে।  

বোয়াফের সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়ের সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের অতিথি জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বলেন, এসব অপশক্তিকে আমরাই পৃষ্ঠপোষকতা করেছি। সেই ফেনীর মাদ্রাসা শিক্ষক সিরাজ একসময় ছাত্রশিবির করতেন। তাকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। কেন? এটা ছাড়তে হবে।  

আইএস  প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আইএস  বলতে কিছু নেই। বিভিন্ন হামলা-হত্যা ঘটনার পর জামায়াত বারবার চেষ্টা করেছে আইএসকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করতে।  এর মাধ্যমে তারা অন্য শক্তিকে বাংলাদেশে প্রবেশের দাওয়াত দিয়েছে।  

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক মারুফ রসুল বলেন, জঙ্গিবাদ বিরোধী আন্দোলন মূলত: সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলন। বর্তমানে এই বিষয়টি দেখা যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কী কথা বলা হয়? এটা গভীরভাবে দেখা দরকার। 

আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, যেহেতু জামায়াতে ইসলামী নতুন নামে আসছে, সেহেতু জঙ্গিবাদও বাংলাদেশে নতুনভাবে আসছে।  

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মুফতি মাসুম বিল্লাহ, শহীদ কাজী আরেফের ছোট ভাই কাজী মাসুম, বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা মতিউর রহমান প্রমুখ।  

আরএম/বিএস