• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ২০, ২০১৯, ০৮:২৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২০, ২০১৯, ০৮:২৪ পিএম

ভয় দেখিয়ে ঘুষ আদায়

বংশাল থানার ৩ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

বংশাল থানার ৩ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার বানিয়ে মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার জন্য ভুয়া ওয়ারেন্টের ভয় দেখিয়ে ঘুষ আদায়ের অভিযোগে বংশাল থানার ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারা হলেন- রাজধানীর বংশাল থানার এসআই রায়হান, এএসআই হাছেন ও এএসআই অমিত।

আজ সোমবার (২০ মে) ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালতে আব্দুস সালাম নামের এক ব্যবসায়ী মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২৯ জুন প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন বলে জানান বাদি আব্দুস সালাম। 

মামলায় অভিযোগে বলা হয়, গত ১৪ মে দুপুর পৌনে ২টার দিকে বাদির ভাই সাবের মিয়াকে আসামিরা তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে জানিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে থানায় নেয়ার চেষ্টা করেন। তখন বাদি তাদের কাছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখতে চাইলে তারা তা দেখাতে পারেননি। এক পর্যায়ে আসামি অমিত বলেন যে, সাবের মিয়া একজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, তাকে ক্রসফায়ার দেয়ার নির্দেশ আছে। এই বলে বাদি ও তার ভাইকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন। এরপর এএসআই হাছেন তাদের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তখন বাদি ও তার ভাই বলেন, তাদের পক্ষে এত টাকা দেয়া সম্ভব না। পরে হাছেন ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ওই টাকা না দিলে বাদিকে অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার বানিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেয়ার হুমকি দেন। প্রাণ রক্ষার্থে তারা ২ লাখ টাকা দিতে সম্মত হন। আসামিরা তাদের ডিআইটি মার্কেটের ৫নং বিল্ডিংয়ের নিচতলা হাজী আক্তার মিয়ার দোকানের সামনে আসতে বলেন। এরপর বাদিরা সেখানে গিয়ে তাদের ২ লাখ টাকা ঘুষ প্রদান করেন। ঘুষ লেনদেনের আংশিক ঘটনা বাদিপক্ষের মোবাইল ফোনে ধারণ করা আছে বলে তারা এজাহারে উল্লেখ করেন। বাদি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।

এইচ এম/ এফসি