• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০১৯, ০৮:২৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৯, ২০১৯, ০৮:২৭ পিএম

৪৬ দিনেও খোঁজ পাওয়া যায়নি খোয়া যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের

৪৬ দিনেও খোঁজ পাওয়া যায়নি খোয়া যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের

থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ, সিআইডি মিলেও ৪৬ দিনে উদ্ধার করতে পারেনি শাহবাগ থানা থেকে খোয়া যাওয়া এএসআই হিমাংশু সাহার আগ্নেয়াস্ত্র।

গত ৫ মে দুপুরের ডিউটি শেষে শাহবাগ থানায় ফেরেন এএসআই হিমাংশু সাহা। থানা ভবনের দ্বিতীয় তলার বিশ্রামকক্ষে পোশাক পরিবর্তন করে ঘণ্টাখানেক ঘুমানোর পর যান শৌচাগারে। এসময় তার আগ্নেয়াস্ত্র আর কয়েকটি গুলি রাখা ছিল বিশ্রামকক্ষের বিছানার উপর। আনুমানিক বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে শৌচাগার থেকে ফিরে তিনি দেখতে পান ৭ দশমিক ৬২ চায়না মডেলের আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৬টি গুলি গায়েব।

শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান বুধবার (১৯ জুন) দৈনিক জাগরণকে বলেন, তদন্ত এখনও চলছে। হিমাংশুকে এখনও সাময়িক বরখাস্ত রাখা হয়েছে।

থানার ভেতরে সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় খুজেঁও অস্ত্র ও গুলির খোঁজ না পাওয়ায় একটি মামলা করা হয়। একইসঙ্গে ঘটনার দিন গাফিলতির অভিযোগে এএসআই হিমাংশুকে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ।

ওসি জানান, থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও এ বিষয়ে তদন্ত করছে। বেশ কয়েক জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে।

থানার মতো সুরক্ষিত জায়গা থেকে এভাবে আগ্নেয়াস্ত্র খোয়া যাওয়াকে খুব অস্বাভাবিক দেখছে পুলিশ। এরইমধ্যে থানার সব কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কূলকিনারা মেলেনি। থানা সূত্র বলছে, ঘটনার কাছাকাছি সময়ে পুলিশ সদস্যদের বাইরে একজন বহিরাগত যুবক থানা সীমানার ভেতরে ছিলেন। কিন্তু তার সঙ্গে থানার কারও কথা হয়নি। তারপরও থানার ভেতরের কেউ যুবককে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন কি না, তা দেখা হচ্ছে।

থানার ফটকের সামনে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। সেখানের ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ দেখেছে- ২৫-২৬ বছরের এক যুবক খয়েরি-সাদা চেক শার্ট আর কফি রঙের প্যান্ট, মুখে দাড়ি, কাঁধে কালো ব্যাগ নিয়ে ঘটনার দিন দুবার থানায় এসেছিলেন। প্রথম দফায় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে থানার মূল গেট দিয়ে প্রবেশ করেন তিনি। এসময় সেখানে দায়িত্বরত একজন কনস্টেবল তার গন্তব্য জানতে চাইলে যুবকটি উত্তরে বলেছিলেন, বাথরুমে যাবেন। দুপুর ১২টা ৩৩ মিনিটে মূল ফটক দিয়েই বের হয়ে যান তিনি। মাঝখানের ৪৮ মিনিট থানার ভেতর তিনি কোথায় গিয়েছিলেন? এই ৪৮ মিনিটের কার্যক্রম থানার ভেতরে থাকা অন্য সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েনি।

থানা পুলিশের তদন্ত সূত্র জানায়, ওইদিন বিকাল ৪টা ২৩ মিনিটে থানার পেছনের মসজিদের গেট দিয়ে যখন আবার থানায় আসেন যুবকটি তখন এএসআই হিমাংশু তখন শৌচাগারে। যুবকটি ভেতরে ঢোকার পর একজন রিকশাচালকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। কথা শেষ করে থানায় ঢোকার দুই-তিন মিনিটের মাথায় মসজিদের গেট দিয়ে বাইরে চলে যান। এই সময়ের মধ্যেই অস্ত্রটি খোয়া যায়।

শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান দৈনিক জাগরণকে বলেন, এটি আমাদের জন্য বেশ উদ্বেগের কারণ। দেখা যাক, সর্বশক্তি দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

আরএম/টিএফ