• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০১৯, ০৬:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৪, ২০১৯, ০৬:১১ পিএম

র‌্যাবের অভিযানে আপত্তি ওষুধ ব্যবসায়ীদের!

র‌্যাবের অভিযানে আপত্তি ওষুধ ব্যবসায়ীদের!
ফার্মেসি মালিকদের সঙ্গে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের বৈঠক - ছবি : জাগরণ

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) উদ্দেশে ওষুধ ব্যবসায়ীরা বলেছেন, যারা চোর, ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ীদের ধরে, তারা ওষুধের দোকানে আসুক- এটা আমরা চাই না।

সোমবার (২৪ জুন) পুরান ঢাকার ইংলিশ রোডে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির কেন্দ্রীয় পরিষদের একটি মতবিনিময় সভায় ওই কথা বলেন মিটফোর্ডের ওষুধ ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম। সভায় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমানের বক্তব্য চলাকালে হঠাৎ দাঁড়িয়ে রফিকুল ইসলাম একথা বলেন। এসময় অন্য ব্যবসায়ীরা তাকে সমর্থন দেন। তারা রাজধানীর মিটফোর্ডসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ওষুধের দোকানে র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান চালানোর তীব্র প্রতিবাদ জানান।

মাইক না দেয়া হলেও রফিকুল ইসলাম মাইক ছাড়াই চিৎকার করে বলতে থাকেন, আমরা মিটফোর্ডে র‍্যাবের অভিযান চাই না। আমাদের নিয়ন্ত্রণে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর রয়েছে। তারা এবং আমাদের সমিতির লোকজন অভিযান চালাবে। যারা চোর, ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ীদের ধরে তারা ওষুধের দোকানে আসুক আমরা চাই না।

রফিকুল ইসলাম বলেন, দুএকজন অপরাধ করে আর তাদের জন্য গোটা ওষুধ ব্যবসায়ীদের ধরতে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন আসে। তারা যখন এই মিটফোর্ডে আসে তখন আমরা ভয় পাই। পুলিশ দেখলেই আমরা ভয় পাই। তাই আমরা চাই ওষুধ প্রশাসন আসুক, কেমিস্ট সমিতির নেতৃবৃন্দ আসুক। আপনারা আমাদের মামলা দেন যা খুশি করেন, কিন্তু র‍্যাবকে ব্যবসায়ীরা ভয় পায়।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে হাত জোড় করে ওষুধের দোকানে র‌্যাবের অভিযান বন্ধের জন্য অনুরোধ জানান তিনি। তার এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা এখানে মতবিনিময় করতে এসেছি। অন্য কথাবার্তা বলা যাবে না। আপনি বলেন যে আপনি পরিষ্কার, আপনি যদি পরিষ্কার থাকেন তখন যদি কেউ অন্যায়ভাবে আপনাদের ধরে তখন আমরা সেটা দেখব।

বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি মো. সাদেকুর রহমান বলেন, আমরা কথা দিচ্ছি নকল, আন-রেজিস্টার্ড এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দোকানে রাখব না। সেগুলো কোম্পানিকে ফেরত দেব। যদি কোনো কোম্পানি ফেরত না নেয়, তবে সেসব কোম্পানিকে আমরা আগামী ২ জুলাই থেকে বর্জন করব।

আরএম/ এফসি