• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০১৯, ০৮:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৫, ২০১৯, ০৮:০০ পিএম

কারা ফটকে ডিআইজি মিজানকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

কারা ফটকে ডিআইজি মিজানকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

দুদকের মানি লন্ডারিং মামলায় কারাবন্দি ডিআইজি মিজানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। 

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে দুদকের পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ ফানাফিল্লাহর নেতৃত্বে একটি দল কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকে ডিআইজি মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।

প্রণব কুমার জানান, দুদকের কর্মকর্তা এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেয়ার অভিযোগে কারাবন্দি পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের অনুসন্ধান দলের অন্য সদস্যরা হলেন- সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ও মোহোম্মদ সালাহউদ্দিন।

জিজ্ঞাসাবাদের সময় জেলার, জেল সুপার ও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য উপস্থিত ছিলেন বলে জানায় কারা কর্মকর্তা। এর আগে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ সম্পর্কে তথ্য জানতে মিজানুর রহমানকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আদালত।

১১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ আদালতের দেয়া আদেশ অনুযায়ী সোমবার (১৫ জুলাই) তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর ডিআইজি মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতির জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। এ বিষয়ে ডিআইজি মিজানের দেহরক্ষী হৃদয় হাসান, গাড়িচালক সাদ্দাম হোসেনকে ৭ জুলাই (রোববার) এবং তার অফিস সহকারী সুমনকে ২৬ জুন (বুধবার) জিজ্ঞাসাবাদ করে অনুসন্ধান দল।

৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে এনামুল বাছিরকে ১০ জুলাই (বুধবার) দ্বিতীয় দফায় তলব করা হলেও তিনি সেদিন হাজির হননি। তবে ওইদিনই তার পক্ষে আইনজীবী কামাল হোসেন লিখিত বক্তব্য জমা দেন। জানা গেছে, লিখিত বক্তব্যে এনামুল বাছির নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। 

দুদকের কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান জানান, ফরেনসিক রিপোর্টে ডিআইজি মিজানুর রহমান এবং এনামুল বাছিরের ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত অডিও রেকর্ডের সত্যতা গেলেও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আরও যাচাই করা হচ্ছে। শিগগিরই প্রতিবেদন দুদকে জমা দেয়া হবে।

গত ১ জুলাই (সোমবার) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিআইজি মিজানুর রহমান ও এনামুল বাছিরকে দুই দফায় তলব করে দুদক। পরদিন ২ জুলাই (মঙ্গলবার) আদালত জামিন নামঞ্জুর করে ডিআইজি মিজানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানুর রহমান দুদকের তৎকালীন অনুসন্ধান কর্মকর্তা পরিচালক এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ওঠে। গণমাধ্যমে বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পরপর এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করে দুদক কর্তৃপক্ষ। যদিও পরিচালক এনামুল বাছির বারবার দাবি করেন, রেকর্ডকৃত বক্তব্য কণ্ঠ নকল করে বানানো। ঘুষের বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য দুদক তিন সদস্যের একটি দলকে দায়িত্ব দেয়।

৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী, ভাই ও ভাগিনার বিরুদ্ধে গত ২৪ জুন (সোমবার) মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) 

এইচএম/এসএমএম

আরও পড়ুন