• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০১৯, ০৮:৫৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৮, ২০১৯, ০৮:৫৯ এএম

শিশু অচেতন করে ভিক্ষাবৃত্তি, অসুস্থ শিশুটি ঢাকা মেডিকেলে 

শিশু অচেতন করে ভিক্ষাবৃত্তি, অসুস্থ শিশুটি ঢাকা মেডিকেলে 


অসুস্থ শিশু নিয়ে রাজধানীর হাইকোর্টের মাজার গেটের সামনে ভিক্ষা করার সময় তার কথিত পিতা জহিরুল ইসলামকে আটক করেন পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কর্মরত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুলতানা ইশরাত জাহান। পরে কথিত বাবাকে পুলিশে সোপর্দের পর গুরুতর অসুস্থ শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করান তিনি। 

জানা গেছে, গতকাল বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে শিক্ষাভবন সংলগ্ন হাইকোর্টের সামনে দাঁড়িয়ে জহিরুল নামের ওই ব্যক্তি ভিক্ষাবৃত্তি করছিলেন। এ সময় ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুলতানা ইশরাত জাহান। তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অফিস শেষে বাসায় ফিরছিলেন। । একজন বাবা অসুস্থ শিশুকে নিয়ে সাহায্য চাইছেন।বিষয়টি দেখে তার সন্দেহ হয়। লোকটির কাছে জানতে চাইলে তিনি ঠিক উত্তর না দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। এদিকে শিশুটিকে তার কথিত মা জোসনাসহ দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। শিশুটির পিঠে পুরাতন পোড়া জখম রয়েছে। 

এএসপি ইশরাত বলেন, শিশুটিকে প্রথমে শিশুটিকে বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে জেনারেল ওয়ার্ডে নেওয়ার পরামর্শ দেন। সেখান থেকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। এখানে প্রথমে ভর্তি না নিতে চাইলেও পরে তারা শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি নেন। সেখানে নেওয়ার পর ওয়ার্ডের চিকিৎসকরা শিশুটিকে দেখে জানান, তার অবস্থা খুবই খারাপ। তাকে এখানে রাখা যাবে না। তার এই মুহূর্তে আইসিইউ দরকার। সেখানকার চিকিৎসকরা কিছুক্ষণ অক্সিজেন দিয়ে রেখে শিশুটিকে মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে রেফার করেন। পরে অক্সিজেন লাগিয়ে একটি ভাড়া অ্যাম্বুলেন্সে রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিশুটিকে মহাখালীর ওই হাসপাতালের নেয়া হয়। মানবিক দিক থেকে শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য এএসপি ইসরাত বলেন, আমার যতটুকু চেষ্টা করা দরকার, আমি তা-ই করবো।

শাহবাগ থানার পরিদর্শক আরিফুর রহমান বলেন, শিশুটির কথিত বাবাকে আটক করে থানায় রাখা হয়েছে। শিশুটির সঙ্গে থাকা কথিত মা জোসনা বলেন, তারা হাইকোর্ট মাজার সংলগ্ন ফুটপাতে থাকে। ভিক্ষা করে থাকে। পুলিশের জেরার মুখে জোসনা জানান, ৭ মাস আগে এক মহিলা তার কাছে শিশুটিকে দিয়ে চলে যায়। সেই থেকে তাদের কাছেই আছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, শিশুটি পুষ্টিহীনতা, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত।

রাত সোয়া ১০টায় ঢামেক হাসপাতাল থেকে শিশুকে মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, শিশুটির ওই ধরনের কোনও সমস্যা নেই। তাই তারা আবার শিশুটিকে ঢামেক হাসপাতালে রেফার করেন। শিশুটি এখন ঢামেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এইচএম/আরআই