• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০১৯, ০৫:৫০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৩, ২০১৯, ০৫:৫০ পিএম

আড়াই মাস পর আ‍‍`লীগ কর্মীর লাশ উত্তোলন

আড়াই মাস পর আ‍‍`লীগ কর্মীর লাশ উত্তোলন
কবর থেকে তোলা হচ্ছে লিটন মিয়ার লাশ - ছবি : জাগরণ

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আদালতের আদেশে দাফনের আড়াই মাস পর কবর থেকে লিটন মিয়া (৩১) নামের আওয়ামী লীগের এক কর্মীর লাশ উত্তোলন করেছে ময়মনসিংহ পুলিশের পিবিআই বিভাগ।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলার পাকাটি গ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে আওয়ামী লীগের কর্মী লিটন মিয়ার লাশ তোলা হয়। লিটন মিয়া পাকাটি গ্রামের ময়েজউদ্দিনের ছেলে ও উপজেলার বারবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

নিহত লিটনের বাবা ময়েজউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান হিরো ও তার ছেলেদের প্ররোচনায় গত ২৪ এপ্রিল দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে গফরগাঁও থানার এসআই রুবেল, এএসআই সুখময় দত্ত, এসআই নূর শাহীনের নেতৃত্বে ৮-১০ জন পুলিশ সদস্য একটি সিআর মামলার ওয়ারেন্টি আসামি খুঁজতে গিয়ে লিটনের বাড়ি ঘেরাও করেন। পুলিশ লিটনকে বসতঘরের দরজা খুলতে বলে এবং দরজায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। ভয়ে লিটন ঘরের টিনের চালা কেটে পালাতে গিয়ে চালা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত লিটনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ২৫ এপ্রিল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে এবং অবস্থার অবনতি হলে ২৫ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে এবং পরে ঢাকার লালমাটিয়ার ইস্টার্ন কেয়ার হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয় । ৯ মে বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

গফরগাঁও থানা পুলিশের দাবি, কামরুজ্জামান ওরফে লিটনের নামে একটি সিআর মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানামূলে তাকে গ্রেফতার করতে তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তিনি টিনের চালা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন।

লিটনের পরিবারের দাবি, লিটনের বাবা মইজউদ্দিনের নামের সাথে একটি মামলার আসামি কামরুজ্জামানের বাবা মইজউদ্দিনের নামের মিল থাকায় নিরপরাধ লিটন মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করতে গভীর রাতে তার বাড়িতে আসে। এ সময় পুলিশের নির্যাতনে লিটন গুরুতর আহত হন।

এ ঘটনায় লিটনের মা মোছা. অজুফা খাতুন গত ১৯ মে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান হিরোসহ স্থানীয় ৭ জন এবং গফরগাঁও থানার এসআই রুবেল, এসআই সুখময় দত্ত ও এসআই নূর শাহীনের নামে ময়মনসিংহ জেলা আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রধান আসামি মিজানুর রহমান হিরো (৫০), ২ নং আসামি শরীফুল (২৫), ৩ নং আসামি বিল্লাল হোসেন, ৪ নং আসামি আসাদুল হক পাকাটি গ্রামের আলাল উদ্দিন হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামি হয়ে বর্তমানে ময়মনসিংহ জেলা কারাগারে হাজতবাস করছেন।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ পরিদর্শক আবুল কাশেম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের মা অজুফা খাতুন গত ১৯ মে ময়মনসিংহের আমলি আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ময়মনসিংহ আদালতের বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশমতে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ও গফরগাঁও উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আবুল মনসুরের নেতৃত্বে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এনআই

আরও পড়ুন