• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০১৯, ০৩:০৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৯, ২০১৯, ০৩:২০ পিএম

এফ আর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতি মামলা

তাসভীরের পর ফারুক গ্রেফতার

তাসভীরের পর ফারুক গ্রেফতার
এস এম এইচ আই ফারুক ও এফ আর টাওয়ার-ফাইল ছবি

নকশা জালিয়াতির মামলায় এবার গ্রেফতার হলেন রাজধানীর বনানীরা এফ আর টাওয়ারের মালিক এস এম এইচ আই ফারুক।

সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর উপ-পরিচালক আবুবকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে একটি টিম গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

দুদক এর জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রোববার (১৮ আগস্ট) একই মামলায় আসামি কাসেম ড্রাইসেলের এমডি ও কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি তাসভীর উল ইসলামকে গ্রেফতার করে দুদক। ৩০ জুলাই (মঙ্গলবার) রাজউকের সহকারী পরিচালক শাহ মোহাম্মদ সদরুল আলমকেও গ্রেফতার করে দুদক।

নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে ১৬ থেকে ২৩ তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগে এফ আর টাওয়ার মালিক, রাজউকের প্রাক্তন দুই চেয়ারম্যান এবং রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে ২৫ জুন (মঙ্গলবার) পৃথক দুই মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলায় ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে এফ আর টাওয়ারের ১৯ তলা থেকে ২৩ তলা নির্মাণ, বন্ধক প্রদান ও বিক্রি করার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৭টি ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

অপর মামলায় এফ আর টাওয়ারের ১৫ তলা অনুমোদন থাকলেও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬ লঙ্ঘন করে নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের অভিযোগ আনা হয় হয়। এই মামলায় দণ্ডবিধির ৪টি ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মোট ৫জনকে আসামি করা হয়।

দুর্ঘটনার পরপরই বনানীর এফ আর টাওয়ার নকশা অনুমোদনে জমির মালিক এস এম এইচ আই ফারুক হোসেন ও রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, কাশেম ড্রাইসেল ব্যাটারির মালিক ও এফ আর টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভির উল ইসলাম এবং রাজউকের সংশ্লিষ্ট ইমারত পরিদর্শকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

ফারুক হোসেন ১৯৯৬ সালে তার মালিকানাধীন ১০ কাঠা জায়গায় ১৮ তলা ভবন নির্মাণের জন্য রাজউকে আবেদন করেন। তবে প্রথম ১৫ তলার অনুমোদন পেলেও পরবর্তীতে রাজউকের সংশ্লিষ্টদের যোগসাজশে অবৈধভাবে ১৮ তলা ভবন নির্মাণ করেন। কিন্তু ২০০৫ সালে ১৮ তলার ওপর ভবনের মালিক ফারুক হোসেন ও রূপায়ন গ্রুপ সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ২৩ তলা নির্মাণ করেন। ২০০৭ সালে বিষয়টি তদন্ত করে অনুমোদিত নকশায় অতিরিক্ত পাঁচতলা নির্মাণের প্রমাণ পেয়েও কোনও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘুষ নিয়ে অবৈধভাবে নির্মিত অংশ বিক্রির অনুমোদন দিলে কাশেম ড্রাইসেল ব্যাটারির মালিক তাসভির উল ইসলাম ক্রয় করেন।

চলতি বছরের ২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগে। একজন শ্রীলঙ্কান নাগরিকসহ নিহত হন ২৭ জন। উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নেয়া একজন দমকল কর্মীও মারাত্মক আহত হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন