• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯, ০১:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯, ০১:৪৫ পিএম

রাজধানী থেকে নিশ্চিহ্ন করা হবে কিশোর গ্যাং : ডিএমপি কমিশনার 

রাজধানী থেকে নিশ্চিহ্ন করা হবে কিশোর গ্যাং : ডিএমপি কমিশনার 
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া - ফাইল ছবি

রাজধানী থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হবে কিশোর গ্যাং। কিশোর গ্যাং বলে কিছু থাকবে না ঢাকায়। এমনটাই বলেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। 

শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় হোসেনী দালানের ইমামবাড়ায় সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের আগে কমিশনার ইমামবাড়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন।
 
তাজিয়া মিছিলে প্রতিবছর কিশোর গ্যাংয়ের কারণে বিশৃঙ্খলা হয়। তাদের বিষয়ে পুলিশের কি ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কিশোর গ্যাং বলি আর বড় গ্যাং বলি ঢাকায় গ্যাং বলে কোনো শব্দ থাকবে না। সবাইকে নিশ্চিহ্ন করা হবে। গ্যাং কালচারের বিরুদ্ধে ডিএমপি শূন্য সহিষ্ণু নীতি অবলম্বন করেছে। ঢাকায় কোনো গ্যাং থাকবে না। এছাড়া অন্য কাউকেও মিছিলে নাশকতা করতে দেয়া হবে না।

তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের ১১০ সদস্যকে আটক করা হয়। এছাড়াও এলাকার স্থানীয় সহিংসতা বন্ধে ইতোমধ্যে র‌্যাব-পুলিশ মোহাম্মদপুর-মিরপুরে অভিযান চালিয়ে মোট ৩ শতাধিক সদস্যকে আটক করেছে। সর্বশেষ কিশোর গ্যাং সদস্যদের আঘাতে মোহাম্মদপুরে এক কিশোর নিহত হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। 

এর আগে আশুরার মিছিলের নিরাপত্তার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার সমন্বয় সভার সিদ্ধান্তের বলেছেন, শিয়া সম্প্রদায়ের এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পবিত্র আশুরা উপলক্ষে শোক মিছিলে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি নিয়ে নিজেদের শরীর রক্তাক্ত করা।
 
তিনি বলেন, আশুরাকে ঘিরে নিরাপত্তার স্বার্থে ডিএমপির পক্ষ থেকে ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতে জানানো হয়, আগামী ৭ই সেপ্টেম্বর দুপুর ২টায় আঞ্জুমানে হায়দারির আয়োজনে হোসনি দালান ইমামবাড়া থেকে শোক মিছিলের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পবিত্র আশুরা উদযাপন শুরু হবে। এছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ১০ই সেপ্টেম্বর আশুরা পালন শেষ হবে। 

এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- ১. শোক মিছিলের নির্ধারিত রুট ও সময়সীমা (নির্ধারিত সময়ে শুরু ও শেষ) মেনে চলতে হবে। ২. তাজিয়া শোক মিছিলে কোনো পাইক যেন অংশ নিতে না পারে, সে বিষয়টি আয়োজক সংস্থা নিশ্চিত করবে। ৩. তাজিয়া শোক মিছিলে অংশ গ্রহণকারীদের নিশানের উচ্চতা ১২ ফুটের বেশি হবে না। ৪. তাজিয়া শোক মিছিল ও অন্যান্য অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আয়োজক সংস্থা প্রতিটি সমবেত স্থানে পর্যাপ্তসংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করবেন। ৫. আয়োজক সংস্থা পর্যাপ্তসংখ্যক আইডি কার্ডসহ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ এবং যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ছবিসহ তালিকা সংশ্লিষ্ট উপ-পুলিশ কমিশনারের অফিসে পাঠাবেন। ৬. তাজিয়া শোক মিছিলে সব প্রকার ধারালো অস্ত্র, ধাতব পদার্থ, দাহ্য পদার্থ, ব্যাগ, পোটলা, লাঠি, ছোরা, চাকু, তরবারি/তলোয়ার, বর্শা, বল্লমের ব্যবহার এবং আতশবাজি নিষিদ্ধ। পোশাকের সঙ্গেও এগুলো ব্যবহার করা যাবে না। ৭. শোক মিছিল চলাকালীন রাস্তার মাঝে বিভিন্ন অলিগলি থেকে আগত লোকদের মিছিলে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। মিছিলে অংশ গ্রহণ করতে হলে মিছিল শুরুর স্থানে যেতে হবে। ৮. শোক মিছিল শুরুর স্থানে প্রবেশের আগে সবাইকে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ও হাত দিয়ে দেহ তল্লাশি করে ঢুকতে দিতে হবে। তল্লাশি ব্যতীত কোনো অবস্থায় কাউকে মিছিলে ঢুকতে দেয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে পর্যাপ্তসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবী রাখতে হবে। ৯. শিয়া সম্প্রদায়ের প্রতিটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইমামবাড়া ও শোক মিছিলে অংশ গ্রহণকারীদের সমাবেত স্থান এবং এর আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। সন্ধ্যার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। ১০. শোক মিছিলে উচ্চমাত্রার শব্দ তৈরি করার ঢাকঢোল, বাদ্যযন্ত্র, পিএ সেট ব্যবহার করা যাবে না। ১১. শোক মিছিল চলাকালীন সময়ে মিছিলের মধ্যে যেন কোনো গ্যাপ সৃষ্টি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ১২. তাজিয়া মিছিলে পাঞ্জা মেলানোর সময় শক্তি প্রয়োগ করে ভীতিকর পরিস্থিতি ও অনাকাঙ্খিত ঘটনা তৈরি করা যাবে না। ১৩. শোক মিছিল ও আশুরাকেন্দ্রিক অনুষ্ঠানে কাউকে চাদর গায়ে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না।

এইচ এম/বিএস 
 

আরও পড়ুন