• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯, ০৯:০৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯, ১০:৩১ এএম

মুক্তিপণ নিতে র‌্যাবের ফাঁদে ৪ অপহরণকারী

মুক্তিপণ নিতে র‌্যাবের ফাঁদে ৪ অপহরণকারী

অপহরণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুমন রায় (৩০) নামে এক যুবককে ঢাকার সাভার থানাধীন আমিনবাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৪)। এ সময় ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে ৪ অপহরণকারীকে আটক করা হয়।

২৩ সেপ্টেম্বর (সোমবার) দুপুর আড়াইটার দিকে সুমনকে উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, ২০ সেপ্টেম্বর বরিশাল থেকে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে ঢাকায় এসে গত ২১ সেপ্টেম্বর উত্তরা থেকে সাভার আসার পরই অপহৃত হন সুমন রায়। গত ২২ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত র‌্যাব-৪ কর্মকর্তা মেজর কাজী সাইফুদ্দিন আহমেদের টিম আমিন বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় ৪ অপহরণকারীদের আটক করে র‌্যাব। 

র‌্যাব আরও জানায়, সুমন গত ২১ সেপ্টেম্বর ভোর ৫টার দিকে উত্তরায় তার চাচা দিলিপ রায়ের বাসায় যান। তিনি ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পূর্ব পরিচিত এনামুল হকের (২৪) কাছে কাজের সন্ধানের জন্য সাভার থানাধীন আমিন বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যান। সেখানে এনামুল হকসহ তার সহযোগী আসামি মো. সায়েম (৩০), মো. রুবেল (৩০) এবং এহসান উল্লাহসহ (২৫) আরও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন লোক সুমনকে কাজ দেয়ার কথা বলে সাভার থানাধীন আমিন বাজার বড়দেশি কেবলারচর নিয়ে যায়। এরপর রূপালী সৈকত আবাসিক কল্যাণ সমিতি সংলগ্ন জনৈক আবুল হাসেমের বাড়ির বাউন্ডারি প্লটের পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ে তাকে বেঁধে রাখে। এ সময় তারা সুমনকে মারপিট করে তার মোবাইলফোন নিয়ে আত্মীয়-স্বজনের কাছে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না দিলে সুমনকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়। এছাড়াও অপহরণকারীরা সুমনকে নির্যাতনের করে তার ফোন থেকে তার আত্মীয়-স্বজনকে কল করে চিৎকারের শব্দ শুনিয়ে দ্রুত মুক্তিপণের টাকা একাধিক বিকাশ নম্বরে পাঠাতে বলে।

অপহৃত সুমন রায়ের আত্মীয়-স্বজন র‌্যাব-৪ অধিনায়ক বরাবর অভিযোগ দায়ের করলে তারা আসামিদের দেয়া বিকাশ এজেন্ট নম্বরের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা নেয়ার সময় সায়েমকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্য মতে, আসামি এনামুল হক (২৪), মো. রুবেল (৩০) এবং এহসান  উল্লাহ (২৫) আটকসহ অপহৃত সুমন রায়কে উদ্ধার করে। আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এইচএম/একেএস


 

আরও পড়ুন