• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯, ০৭:৪৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯, ০৭:৪৪ পিএম

নারী শিক্ষিকার সংবাদ সম্মেলন

উইলস লিটলের সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

উইলস লিটলের সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলনে নাজমা হোসেন লাকী (বাঁয়ে), আরিফুর রহমান টিটু

রাজধানীর কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আরিফুর রহমান টিটুর বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যসহ ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক নাজমা হোসেন লাকী। আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি বলেন, গভর্নিং বডির এই সভাপতি বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে প্রতিষ্ঠানের ফান্ড থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
  
নাজমা হোসেন লাকী লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, সভাপতি আরিফুর রহমান টিটু স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক। গত তিন বছর আগে প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির (জিবি) সভাপতি নির্বাচন করা হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে নানাভাবে প্রতিষ্ঠানের অর্জিত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। ক্ষমতা প্রয়োগ করে তিনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে সভাপতি পদ ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
 
ইংরেজি বিভাগের এই শিক্ষক বলেন, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ একটি সুনামধারী প্রতিষ্ঠান হলেও অর্থের বিনিময়ে সম্প্রতি প্রাথমিক শাখায় ৩০ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের অনেকে এইচএসসি পাস। 

তিনি বলেন, সভাপতির অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় বিভিন্ন শাখার ১৪ জন শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়। পরে বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হলে ১২ জন শিক্ষককে পুনঃযোগদান করানো হলেও তাকে ও রফিকুল ইসলামকে এখনো নিয়োগ দেয়া হয়নি।

নাজমা হোসেন বলেন, বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের ৫ম, ৮ম, ১০ম ও দ্বাদশ শ্রেণির বিশেষ ক্লাস, মডেল টেস্ট এবং ইংরেজি মাধ্যমের মক টেস্ট বাবদ অর্জিত টাকার ৩০ শতাংশ গভর্নিং বডির সদস্যরা জোর করে ভাগ করে নিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে অতিরিক্ত শিক্ষক আছে। তা সত্ত্বেও শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন সভাপতির বড় ভাইয়ের উচ্চ মাধ্যমিক পাস মেয়ে। এছাড়া পূর্বে নিয়োগকৃত শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের সময় দেড় বছরের বেশি পার হলেও সেই ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেই।

ইংলিশ মিডিয়াম শাখার সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান নাজমা হোসেন জানান, সংবাদ সম্মেলন যোগ না দিতে সকল শিক্ষক ও অভিভাকদের হুমকি দেয়া হয়েছে। এ কারণে তিনি ছাড়া কেউ উপস্থিত থাকতে পারেনি। তাকেও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে থানায় জিডি করা হয়েছে। তবে প্রেসক্লাব থেকে বের হওয়ার পর বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন কি না তা অনিশ্চিত বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, গত ৫ বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠান চালালেও পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হয়নি। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল হোসেনের নিয়োগ বিধি মোতাবেক নয়। সভাপতির ইচ্ছায় প্রতিষ্ঠান চলছে। সভাপতিসহ তার ছোট ভাই ঢাকা দক্ষিণের যুবলীগের আশিকুর রমহান নাদিম ও আরেক ভাই বিএনপি নেতা আনিসুর রহমান লাভলু তাদের দলবল নিয়ে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আড্ডা দেন। যখন-তখন শিক্ষক কর্মচারীদের গালিগালাজ ও জীবননাশেরও হুমকি দিয়ে থাকেন।

এমএএম/ এফসি

আরও পড়ুন