• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০১৯, ০১:৪৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৩, ২০১৯, ০১:৪৬ পিএম

খালেদা জিয়া কারও দয়ায় মুক্ত হবেন না : মির্জা ফখরুল

খালেদা জিয়া কারও দয়ায় মুক্ত হবেন না : মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পেশাজীবী পরিষদের সমাবেশ- ছবি: জাগরণ

দেশের গণতন্ত্রের জন্য সারাজীবন লড়াইকারী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারও দয়ায় মুক্ত হবেন না বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেন, জামিন পাওয়া তার হক ও ন্যায্য অধিকার।অবশ্যই এই মামলায় তার ন্যায্য অধিকারেই তিনি জামিনে মুক্ত হবেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা যাবে না। জনগণ তাদের প্রিয় নেত্রীকে অবশ্যই আন্দোলনের মাধ্যমে বের করে নিয়ে আসবে।
 
বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
 
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যে নেত্রী সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন, তাকে এই গণবিরোধী সরকার যারা জনগণের অধিকার নিয়ে সব সময় খেলা করেছে ও জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, গণতন্ত্রের সঙ্গে বেঈমানী করেছে, তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে আটক করে রেখেছে। তার একটি মাত্র কারণ, তারা জানে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে তাদের দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য লুটপাটের স্বর্গরাজ্য গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত করতে পারবে না। বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার যে নীল নকশা সেটাকে তারা বাস্তবায়িত করতে পারবে না। সেজন্য তারা দেশনেত্রীকে আটক করে রেখেছে।
 
তিনি বলেন, এই সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে। এটাই তাদের ইতিহাস, তাদের চরিত্রের মধ্যে গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই। তাদের একটাই আছে একনায়কতন্ত্র, ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করা একদলীয় শাসনব্যবস্থা করা। ৭৫ সালে বাকশাল সৃষ্টির মাধ্যমে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা করতে চেয়েছিল। আজকে দীর্ঘদিন ধরে কৌশল পাল্টে ফেলে গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে ফেলে দিয়ে সংবিধান লংঘন করে তারা ভিন্ন আঙ্গিকে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে। 

জনগণের প্রতি আবেদন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সমস্যা শুধু বিএনপির নয়। এই সমস্যা শুধু পেশাজীবীদের নয়। এই সমস্যা সারা বাংলাদেশের মানুষের। যেজন্য ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিলাম। যার মূলমন্ত্রই ছিল গণতন্ত্র, সেই গণতন্ত্রকেই তারা ব্যাহত করছে। 

ক্যাসিনো নিয়ে খুব লাফালাফি হচ্ছে জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ক্যাসিনোয় লুট করেছে। তার চেয়ে অনেক বড় সম্পদ আমাদের লুট হয়ে গেছে। সেই সম্পদ হলো আমাদের ভোটের অধিকার, আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। আমাদের স্বাধীন মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার অধিকার লুট হয়ে গেছে। লুট করেছে আওয়ামী লীগ। আজকে সেজন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
 
প্রধানমন্ত্রী আজকে ভারত গেছেন উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা সব সময় আশা করে থাকি। ভারতের সঙ্গে নাকি এই সরকারের সবচেয়ে সুউচ্চু সম্পর্ক। সেদেশের নেতারা বিভিন্ন রকম কথা বলেন। তারা বলেন, আসাম থেকে বের করে দেয়া হবে, উত্তর প্রদেশ থেকে বের করে দেয়া হবে। এসব কথায় স্বাভাবিক কারণেই আমারা বাংলাদেশের নাগরিকেরা উদ্বিগ্ন হই। আমাদের কোনো মানুষ ভারতে গেছে বলে আমরা মনে করি না। আমরা মনে করি এটা এক ধরণের ষড়যন্ত্রের কথা। যা দিয়ে বাংলাদেশের ওপরে আরও বড় রকমের একটা চাপ সৃষ্টি হতে পারে। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান এই সরকার করতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকে তারা ফেরত পাঠাতে পারেনি। 
 
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব প্রফেসর ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিএফইউজের সভাপতি রুহূল আমীন গাজী, মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, পেশাজীবী নেতা প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. এম শামসুল আলম, রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, প্রকৌশলী ফখরুল ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেন, বিপ্লব জামান, জাহানারা খাতুন, জাকির হোসেন, রিয়াজুল ইসলাম রিজু প্রমুখ।

টিএস/বিএস 
 

আরও পড়ুন