• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০১৯, ০৯:১০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১২, ২০১৯, ০৯:২১ এএম

টেক্সাস সিডনিতে বাড়ি-গাড়িসহ অঢেল টাকা রয়েছে মিজানের

টেক্সাস সিডনিতে বাড়ি-গাড়িসহ অঢেল টাকা রয়েছে মিজানের
হাবিবুর রহমান মিজান -ফাইল ছবি

টেক্সাস সিডনিতে বাড়ি-গাড়িসহ অঢেল টাকা রয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বরের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে পাগলা মিজানের। অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ থেকেই এসব সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি।

গতকাল শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মিজানের মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা কয়েকদিন ধরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজানকে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছিলাম। গ্রেফতার হতে পারেন টের পেয়ে গত দু-তিন দিন আগে ঢাকা থেকে পালিয়ে যান।

শুক্রবার ভোরে শ্রীমঙ্গলের কলেজ গেইট এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। বাসাটি তার বান্ধবীর বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আটকের সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন ও নগদ দুই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে মিজানের কাউন্সিলর অফিসে পরে মোহাম্মদপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয় বলেও জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।

সারওয়ার আলম বলেন, বাসা তল্লাশি করে ৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকার মূল্যের বিভিন্ন ব্যাংকের চেক, এক কোটি টাকার এফডিআরের কাগজ উদ্ধার করা হয়। এসব টাকার কোনো উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। কাউন্সিলর হিসেবে সরকার থেকে সম্মানী বাবদ মাসিক বেতন ছাড়া আমরা তার দৃশ্যত কোনো ব্যবসার খোঁজ পাইনি। ১৫ বছর আগে তার ইটভাটার একটি ব্যবসা ছিল কিন্তু এখন সেটিও নেই। দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য মিজান প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে গত দুইদিনে ৬৮ লাখ টাকা উত্তোলন করেছিল কিন্তু সেই টাকা কোথায় রেখেছেন এখনও আমরা জানতে পারিনি। তদন্তে হয়তো এসব তথ্য বের হয়ে আসবে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত মিজানের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসাসহ সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ রয়েছে। এরমধ্যে চাঁদাবাজির ছাড়া জমি দখলের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, কাউন্সিলর মিজানকে যেহেতু অবৈধ অস্ত্রসহ শ্রীমঙ্গল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেহেতু তার নামে শ্রীমঙ্গল থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হবে। এছাড়া আয় বর্হিভূত অবৈধ উপার্জনের কারণে তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা হবে।

সারওয়ার আলম বলেন, ১৯৮৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ৩২ নম্বরের বাড়িতে তাকে হত্যা করার জন্য যে হামলা করা হয়েছিল তার সঙ্গে মিজান ও তার ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা ছিল। সে ওই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তারা দুই ভাই এক সময় ফ্রিডম পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

 এইচএম/একেএস

আরও পড়ুন