• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০১৯, ১০:২৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২৮, ২০১৯, ১০:৩৯ এএম

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান

জি কে শামীম ও খালেদের বিরুদ্ধে চার্জশিট

জি কে শামীম ও খালেদের বিরুদ্ধে চার্জশিট
জি কে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া এবং ঠিকাদার জি কে শামীমের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক অস্ত্র মামলায় চার্জশিট দিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এতে জি কে শামীমের ৭ দেহরক্ষীকে আসামি করা হয়েছে।

রোববার (২৭ অক্টোবর) তার বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে র‌্যাব-১ এর এসআই শেখর চন্দ্র মল্লিক এ চার্জশিট জমা দেন।

এ নিয়ে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে দায়ের করা মামলাগুলোর মধ্যে দুটির চার্জশিট দাখিল করা হল। এর আগে, গত ২০ অক্টোবর আদালতে প্রথম চার্জশিট দেয়া হয় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। র‌্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) বেলায়েত হোসেন এটি জমা দেন।

শামীমের বিরুদ্ধে দেয়া চার্জশিটে বলা হয়, তিনি একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক এবং জুয়া ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তার সহযোগীরা উচ্চ বেতনভোগী দুষ্কর্মের সহযোগী। তারা অস্ত্রের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে এসব অস্ত্রশস্ত্র বহন ও প্রদর্শন করেছেন। এর মাধ্যমে তারা জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসাসহ স্থানীয় বাস টার্মিনাল ও গরুর হাট-বাজারে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। আসামি শামীম অস্ত্রের শর্ত ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদক ব্যবসা ও মানি লন্ডারিং করে আসছিলেন।

অস্ত্র মামলার চার্জশিটভুক্ত শামীমের ৭ দেহরক্ষী হলেন- নওগাঁর দেলোয়ার হোসেন, গোপালগঞ্জের মুরাদ হোসেন, বাড্ডার জাহিদুল ইসলাম, যশোরের শহিদুল ইসলাম, ভোলার কামাল হোসেন, নীলফামারীর সামসাদ হোসেন ও বাগেরহাটের আমিনুল ইসলাম।এর আগে, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানের নিকেতনে অভিযান চালিয়ে যুবলীগ নেতা শামীমসহ তার ৭ দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

এর আগে, ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর দিনই মাদক, অস্ত্রসহ গ্রেফতার হন যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ।

খালেদের বিরুদ্ধে দেয়া চার্জশিটে বলা হয়েছে, অবৈধ অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে খালেদ ও তার ক্যাডার বাহিনী শাজাহানপুর, মুগদা, মতিঝিল, আরামবাগ ও কমলাপুরসহ আশপাশ এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। মানুষ তার ভয়ে আতঙ্কিত ছিল। খালেদ দীর্ঘদিন ধরে মতিঝিল এলাকার ইয়ংমেনস ক্লাবসহ বেশ কয়েকটি ক্লাবে জুয়া, ক্যাসিনো ও মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। রাজউক, পানি উন্নয়ন বোর্ড, যুব ভবন ও সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে একচ্ছত্র টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ ছিল তার। এসব অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের জন্য অবৈধ অস্ত্রধারী একটি বিশাল বাহিনী গড়ে তোলেন তিনি। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ক্যাসিনোসহ নানা অপকর্মে এসব অস্ত্র ব্যবহার করা হতো।

চার্জশিটে আরও বলা হয়, খালেদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া আলামতের একটি শটগান ও একটি পিস্তলের লাইসেন্স নবায়ন করার কথা থাকলেও তা নবায়ন করা হয়নি, যা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বলে আইনের দৃষ্টিতে বিবেচিত। দুটি অস্ত্রের লাইসেন্সে ৫০ রাউন্ড করে গুলি কেনার হিসাব থাকার কথা। অথচ তার হেফাজত থেকে নয় রাউন্ড পিস্তলের এবং সাত রাউন্ড শটগানের অতিরিক্ত গুলি পাওয়া যায়। এ ছাড়া জব্দ করা অপর একটি পিস্তলের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি।

খিলগাঁও-শাজাহানপুরে গণপরিবহনে মোটা অঙ্কের চাঁদাবাজি করতেন খালেদ। এছাড়া প্রতি ঈদে শাজাহানপুর রেলকলোনি মাঠ, মেরাদিয়া ও কমলাপুরের অস্থায়ী পশুরহাট নিয়ন্ত্রণ করতেন। খিলগাঁও রেলক্রসিং এলাকায় প্রতি রাতে মাছের হাট থেকেও চাঁদাবাজি করতেন।

একেএস


 

আরও পড়ুন