• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০১৯, ০৪:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২, ২০১৯, ০৫:২৩ পিএম

ধানমণ্ডিতে জোড়া খুন

সন্দেহের তীর শিল্পপতির দেহরক্ষী বাচ্চুর দিকে

সন্দেহের তীর শিল্পপতির দেহরক্ষী বাচ্চুর দিকে
হত্যাকাণ্ডের শিকার আফরোজা বেগম (৬৫) -ছবি : সংগৃহীত

ধানমণ্ডিতে জোড়া খুনের রহস্য খোলাসা হয়নি। তবে আজ শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ সব কিছু খোলাসা হয়ে যাবে বলে আশা করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। 

ধানমণ্ডি ২৮ নম্বর (নতুন ১৫) রোডের বাড়িটিতে গিয়ে দেখা গেছে, ডিবি পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)সহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী নিজেদের মতো করে তদন্ত করে যাচ্ছে।

ঘটনাস্থলে ডিবির এক কর্মকর্তার কাছে তদন্তের সর্বশেষ তথ্য জানতে চাইলে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করতে চাননি। শুধু বলেছেন, শিল্পপতি কাজী মনির উদ্দিনের দেহরক্ষী বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তারা। এ জন্য তারা ধানমণ্ডি থানায় যাচ্ছেন। তাদের প্রবল ধারণা ঘটনা সে-ই ঘটিয়েছে। আজ (শনিবার) সন্ধ্যার মধ্যেই সব কিছু খোলাসা হয়ে যাবে।

আরেক ডিবি কর্মকতা বলেন, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এতে কোনও সন্দেহ নেই। পরিকল্পনা ছাড়া জবাই করে হত্যা করা হতেই পারে না।

পরিদর্শক মোক্তার হোসনের নেতৃত্বে ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে পিবিআইর ৭ সদস্যের একটি দল। তাদের দেখা গেলো সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক সংগ্রহ করতে।

পিবিআইর একজন উপ-পরিদর্শকও দৈনিক জাগরণকে বলেন, পরিকল্পিত হত্যা তো বটেই। এখনও আনুষ্ঠানিক তদন্তের ভার পাইনি। আমরা এসেছি নিজেদের মতো তদন্ত করে যদি কিছু পাওয়া যায়। আমরা শিল্পপতি মনির উদ্দিনের সাক্ষাৎ পাওয়া চেষ্টা করছি। তিনি এখনও কথা বলেননি। তিনি নাকি ঘুমাচ্ছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ধানমণ্ডি ২৮ নম্বর (নতুন ১৫) রোডের একটি বাড়ির পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে দুই নারীর জবাইকৃত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন- টিমটেক্স গ্রুপের এমডি এবং ক্রিয়েটিভ গ্রুপের ডিএমডি কাজী মনির উদ্দিন তারিমের শাশুড়ি আফরোজা বেগম (৬৫) এবং তার গৃহকর্মী বিথী (১৮)।

শুক্রবার ওই বাসায় নতুন একজন গৃহকর্মী কাজে এসেছিল জানিয়ে মনির উদ্দিন তারিম সাংবাদিকদের বলেন, নিরাপত্তাকর্মী বা কর্মচারীদের যোগসাজশে ওই কাজের বুয়াই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।  বাসা থেকে টাকা, তিনটি ফোন, সঞ্চয়পত্র, গয়নাসহ বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রী খোয়া গেছে।

ওই সড়কের ২১ নম্বর হোল্ডিংয়ে লবেলিয়া নামের ৬ তলা ওই অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে মোট পাঁচটি ফ্ল্যাট আছে ব্যবসায়ী মনির উদ্দিন তারিমের। এর মধ্যে দুটা তিনি ভাড়া দিয়েছেন। পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন শাশুড়ি ও তার গৃহকর্মী। উল্টো দিকের ফ্ল্যাট এবং তার ঠিক ওপরে ছয়তলার ফ্ল্যাট নিয়ে ডুপ্লেক্সে বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন তারিম। 

প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিল্পপতি মনিরের দেহরক্ষী বাচ্চু ও ভবনের এক নিরাপত্তাকর্মীকে আটক করা হয়।

পুলিশসহ ওই বাসার কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, নতুন একজন গৃহকর্মীকে নিয়ে বিকাল ৩টার দিকে আফরোজা বেগমের বাসায় আসেন মনিরে দেহরক্ষী বাচ্চু। ঘণ্টাখানেক পর বাচ্চু একবার কোনও কাজে নিচে নামেন। তখন তার পরনে ছিল লুঙ্গি। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাচ্চুকে বিল্ডিং থেকে বাইরে যেতে দেখা যায়। নতুন যে গৃহপরিচারিকা এসেছিল, তিনিও সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে একা বেরিয়ে যান।  

কাজী মনির উদ্দিন গণমাধ্যমকেও এও বলেছেন, সন্ধ্যার দিকে বাচ্চুকে নিয়ে গিয়েছিলাম স্যুপ কিনতে। হঠাৎ করে বাসার এক সিকিউরিটি গার্ড ফোন করে বাচ্চুকে হত্যাকাণ্ডের খবর দেয়। বাচ্চু তখন স্যুপ না নিয়েই দৌড়ে চলে আসে। এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।এখানে দারোয়ানের কোনও সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে।

আরএম/এসএমএম

আরও পড়ুন