• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০১৯, ০২:৫৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৩, ২০১৯, ০২:৫৯ পিএম

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে জি কে শামীম, আনা হচ্ছে খালেদকে

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে জি কে শামীম, আনা হচ্ছে খালেদকে
কারাগার থেকে দুদক কার্যালয়ে আনা হয়েছে জিকে শামীমকে- ছবি: কাশেম হারুন

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জি কে শামীমকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে আনা হয়েছে। 

রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুরের দিকে শামীমকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আনা হয়।
এর আগে বেলা ১১টার জি কে শামীমকে আনতে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদকে আনতে কাশিমপুর কারাগারে যায় দুদকের দু’টি টিম।

জানা যায়, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে যুবলীগের সাবেক নেতা জি কে শামীম ও তার মা এবং খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে গত ২১ অক্টোবর মামলা করে দুদক। 

দুদক সূত্র জানায়, মামলায় জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ এবং খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জি কে শামীম ২০১৮-২০১৯ করবর্ষ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। এর মধ্যে আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার তথ্য উল্লেখ করলেও মোট টাকার বৈধ উৎস পায়নি দুদক। এছাড়া শামীমের বাসা থেকে উদ্ধারকৃত নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ও ৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকার বিদেশি মুদ্রা, শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের নামে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার এফডিআর, মায়ের নামে আরো ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার ব্যবসার অংশীদার এবং জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানির শেয়ার, গাড়ি ও এফডিআর বাবদ ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পায়নি দুদক। অনুসন্ধানে জি কে শামীমের মা আয়েশা আক্তারের কোনো বৈধ আয়ের উৎসও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ মোট ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে ২৭ (১) ধারা ও দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মা ও ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

অন্যদিকে, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৯০ লাখ ১৬ হাজার ৭০৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া গত ১৮ সেপ্টেম্বর র‌্যাবের অভিযানে তার গুলশানের বাসা থেকে ১৭ লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ টাকার বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। এ অর্থের উৎস দেখাতে পারেননি খালেদ মাহমুদ। তার বিরুদ্ধে মোট ৫ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগে উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে দুদক আইনে ২৭ (১) ধারায় মামলা করেছেন।

প্রসঙ্গত, ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। অভিযানে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের বেশ কয়েকজন নেতার ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। এর পরপরই ৩০ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনো ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ অর্থ-সম্পদ অর্জনের বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। একইসঙ্গে দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি টিম গঠন করে দেয়া হয়। টিমের অপর সদস্যরা হলেন- উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গির আলম, সালাউদ্দিন আহমেদ, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।

এইচএস/বিএস