• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০১৯, ০৭:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৫, ২০১৯, ০৭:১৬ পিএম

সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে : ফখরুল

সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে : ফখরুল
বক্তব্য রাখছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর - ছবি : জাগরণ

সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এজন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা অত্যন্ত সচেতনভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করছে। একটিমাত্র উদ্দেশ্য- তারা এই দেশকে একটা করদরাজ্যে পরিণত করতে চায়। 

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির প্রয়াত স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তরিকুল ইসলাম স্মৃতি সংসদ আয়োজিত ‘তরিকুল ইসলাম : জীবন ও সংগ্রাম’ শীর্ষক স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, ৪ নভেম্বর ২০১৮ আমাদের তরিকুল ইসলাম ভাই মারা গেছেন। ঠিক এক বছর পরে একই দিনে আমাদের আর একজন নেতা সাদেক হোসেন খোকা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। এই চলে যাওয়া যদি সুষ্ঠু স্বাভাবিক হতো- আমাদের কিছু বলার ছিল না। আমাদের নেতা তরিকুল ইসলাম তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সরকারের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন। প্রথমে পাকিস্তান সরকার, এরপর আওয়ামী বাকশালী সরকারের হাতে, এরপর স্বৈরাচার এরশাদের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন। সবশেষে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একটার পর একটা মিথ্যা মামলায় তাকে একবার যশোর একবার ঢাকা দৌড়াতে হয়েছে। এভাবে তিনি আমাদের মাঝ থেকে চলে গেছেন। 

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি বলেছে- বাংলাদেশে যে প্রবৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে সেটা সঠিক নয়। তারা বলেছে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রতিটি স্তম্ভ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক লুট, শেয়ার বাজার লুট, টাকা পাচার, এক লক্ষ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার হয়েছে। যেটা দিয়ে পাঁচটা পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যেত। 

ফখরুল বলেন, আজকে বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন, গণমাধ্যম- সব ধ্বংস করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া সংগ্রাম করছেন বলেই তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে। তার মুক্তির জন্য নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।  

সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন তরিকুল ইসলাম স্মৃতি সংসদের সদস্য সচিব, যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও তরিকুল ইসলামের স্ত্রী অধ্যাপিকা নার্গিস বেগম। সভা পরিচালনা করেন বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম।

টিএস/ এফসি

আরও পড়ুন