• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৮:২৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৮:২৮ এএম

৩০ লাখ টাকা আত্মসাতকারী পোস্ট মাস্টার দুদকের হাতে গ্রেফতার

৩০ লাখ টাকা আত্মসাতকারী পোস্ট মাস্টার দুদকের হাতে গ্রেফতার

লক্ষ্মীপুরে গ্রাহকের সঞ্চয়কৃত ৩০ লাখ ২৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে শ্রীবাস চন্দ্র দে নামে এক পোস্ট মাস্টারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শ্রীবাসকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চন্দ্রগঞ্জ আমলী আদালতে হাজির করলে টাকা আত্মসাতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এর আগে দুপুরে নোয়াখালীর মাইজদি সুপার মার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, ৩০ লাখ ২৭ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি স্বীকার করে শ্রীবাস আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। আদালতের বিচারক জুয়েল দেব তাকে লক্ষ্মীপুর-জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

শ্রীবাস লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের উপ-ডাকঘরের সাব পোস্ট মাস্টার (বর্তমানে সাময়িকভাবে বরখাস্ত) ছিলেন।

রাতে দুদক নোয়াখালী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পোস্ট মাস্টার শ্রীবাস চন্দ্র দে’র বিরুদ্ধে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতে ঘটনায় গত ১৩ মে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সদর উপজেলার দত্তপাড়ার দক্ষিণ মাগুড়ী গ্রামের ভুক্তভোগী হাবিব উল্যা এ মামলা দায়ের করেন। পরদিন তিনি নোয়াখালী বিভাগের ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেলের কাছেও লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর ভিত্তিতে নোয়াখালী বিভাগের ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল মো. মনিরুজ্জামান বিষয়টি তদন্তের জন্য দুদকে অভিযোগ করেন।

পরবর্তীতে দুদকের তদন্তে শ্রীবাসের বিরুদ্ধে আরও ৪ গ্রাহকের ২৭ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়। এরমধ্যে সদর উপজেলার শিল্পির ৫ লাখ টাকা, তোতার খিল গ্রামের রাশেলের ৫ লাখ টাকা, বড়ালিয়া গ্রামের লাখী রানী সূত্র ধরের ৩ লাখ টাকা ও গণেশ্যামপুর গ্রামের কামাল হোসেনের ১৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এসব টাকার পরিমাণ শুধু গ্রাহকের পাশ বহিতে উত্তোলন করা হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য রেকর্ড এবং সরকারি তহবিলে হিসাবভুক্ত করা হয়নি।

কেএসটি

আরও পড়ুন