• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০১৯, ১২:২৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৭, ২০১৯, ০২:০৫ পিএম

হলি আর্টিজানে হামলা

৭ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড, একজন খালাস

৭ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড, একজন খালাস
(উপরে, বাঁ থেকে) শরিফুল ইসলাম খালিদ, মামুনুর রশিদ রিপন, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী ও রাকিবুল হাসান রিগান (নিচে, বাঁ থেকে) রাশেদুল ইসলাম ওরফে র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান সাগর, সোহেল মাহফুজ

রাজধানীর হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার মামলার আসামিদের ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৭ জঙ্গি হলো - জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র‌্যাশ, সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ রিপন।মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।

অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় বিচারের মুখোমুখি করা আরেক আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

ফাঁসির রায়ে আসামিদের কাউকে বিচলিত হতে দেখা যায়নি। তারা অনুতপ্ত হয়নি, সবাই ভাবলেশহীন ছিল।তারা উচ্চস্বরে বলছিল, ‘আল্লাহু আকবর, আমরা কোনো অন্যায় করিনি।’ আদালত কক্ষে একজন আসামি আইএসের টুপি মাথায় দিয়ে উপস্থিত হয়। ফাঁসির রায়ের পর সে জয়সূচক ‘ভি’ চিহ্ন দেখিয়েছে।

খালাসের রায় শুনে মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়। 

আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা এবং ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আইএসের ব্যানারে এই হামলা চালানো হয়েছে।

রায় ঘোষণার পর প্রিজনভ্যানে করে আসামিদের কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ৮ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে নেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। পরে অভিযানে ৫ হামলাকারী মারা যায়। ওই ঘটনায় পরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।
 
গত ১৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণা জন্য আজ ২৭ নভেম্বর (বুধবার) দিন ধার্য করেন।

মামলা করার পর ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক হুমায়ুন কবির। একই বছর ২৬ নভেম্বর ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।

এছাড়া বিভিন্ন অভিযানে ১৩ জন নিহত হওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়।

হলি আর্টিজানে সেনাবাহিনীর অপারেশন থান্ডার বোল্টে নিহত ৫ হামলাকারী হলেন- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।

এছাড়া এ মামলায় আসামিদের মধ্যে বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানে ৮ জন নিহত হয়েছে। তারা হচ্ছে- তামিম আহমেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।

এমএ/ এফসি