• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০১৯, ০৪:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৭, ২০১৯, ০৪:৫৭ পিএম

হলি আর্টিজান হামলা : কে এই বড় মিজান

হলি আর্টিজান হামলা : কে এই বড় মিজান

গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বেকারিতে হামলা মামলার রায়ে খালাস পাওয়া একমাত্র আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। সবার প্রশ্ন কে এই বড় মিজান। 

২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার বনানী থেকে মিজানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মিজানুর রহমান বড় মিজান নামে পরিচিত। পেশায় একজন মৎস্যজীবী। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের হাজারবিঘি চাঁনপুরে। গুলশান হামলায় ব্যবহৃত বিস্ফোরক ও অস্ত্র সরবরাহে সহায়তা করে হত্যাকাণ্ড সংঘটনে ভূমিকা রাখার অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে।

মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে গ্রেফতারের পর পুলিশের বক্তব্য ছিল তিনি জেএমবির সক্রিয় সদস্য। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী শিবগঞ্জের নব্য জেএমবির প্রধান দায়িত্বশীল। আগে তিনি জুনুদ আত তাওহিদ নামের একটি জঙ্গি সংগঠনের প্রধান সামরিক কমান্ডার ছিলেন। পরে তামিম চৌধুরীর মাধ্যমে নব্য জেএমবিতে যুক্ত হন। বড় মিজানের নেতৃত্বেই নব্য জেএমবি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তকেন্দ্রিক অস্ত্র ও গ্রেনেড তৈরির উপকরণ, ডেটোনেটর ও বিস্ফোরক জেল চোরাচালানের একটি চক্র গড়ে তোলে। এই চক্রই জেএমবির প্রায় সব অস্ত্র, ডেটোনেটর ও বিস্ফোরক জেল সরবরাহ করছিল। গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেড ও পিস্তলগুলো বড় মিজানের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় এবং বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তানভীর কাদেরীর বাসায় তামিম চৌধুরীর কাছে পৌঁছানো হয়।

২০১৬ সালের ২ নভেম্বর রাজধানীর গাবতলী থেকে নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী সন্দেহে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তখন পুলিশ বলেছিল, তারা জেএমবির চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সামরিক শাখার দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। তাদের কাছ থেকে গ্রেনেড তৈরির উপকরণ, ৭৮৭টি ডেটোনেটর ও একটি নাইন এমএম পিস্তল উদ্ধার করা হয়। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। ওই সময় করা মামলায় বড় মিজানকেও গ্রেফতার দেখানো হয়।

পুলিশের সূত্র বলেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জ থানার বাসিন্দা এই ব্যক্তি ভারত থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক চোরাচালানের মাধ্যমে এনে সরবরাহ করতেন। ভারতের বিভিন্ন খনি এলাকায় বিস্ফোরণের কাজে ব্যবহৃত বিস্ফোরক জেল ও ডেটোনেটর সংগ্রহ করে সেগুলো দিয়েই বোমা বানাত জঙ্গিরা।

মূলত, ২০১১ সালের দিকে জুনুদ আত তাওহিদের সঙ্গে যুক্ত হন বড় মিজান। তার ভাই আবু তাহেরও নব্য জেএমবির সঙ্গে যুক্ত। তিনিও বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

গ্রেফতারের পর ঢাকার একটি আদালতে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন বড় মিজান। স্বীকারোক্তিতে তিনি, হলি আর্টিজানে হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র-বিস্ফোরক সরবরাহের কথা স্বীকার করেছিলেন।

আরএম/একেএস

আরও পড়ুন