• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০১৯, ১০:১৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৩, ২০১৯, ১০:২৪ এএম

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ১১৯৭ কোটি টাকা পাচার, গ্রেফতার ২ 

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ১১৯৭ কোটি টাকা পাচার, গ্রেফতার ২ 
সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম

তথ্য গোপন ও মিথ্যা ঘোষণায় মোটা অঙ্কের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদফতর। রাজধানীর বিজয় নগরের মাহাতাব সেন্টার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।   

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- দিদারুল আলম ও আবদুল মোতালেব।

অভিযোগে জানা গেছে, দিদারুল আলম ও আব্দুল মোতালেব পোল্ট্রি মেশিনারিজ আমদানির ঘোষণা দিয়ে মদ, সিগারেট ও ফটোকপির মেশিন আমদানির মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে এক হাজার ১৯৭ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে তারা ওই টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।

শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার দিদারুল ও মোতালেব ১৫টি মানি লন্ডারিং মামলার আসামি। তাদের আরও বেশ কয়েকজন সহযোগী রয়েছে। তারা সবাই মিলে মেসার্স অ্যাগ্রো বিডি অ্যান্ড জেপি, হেনান আনহুই অ্যাগ্রো পলিসি ও হেব্রা ব্র্যাংকো নামে ৩টি অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে পোল্ট্রি ফিড মেশিনারি আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলে। কিন্তু আমদানি করে বিপুল পরিমাণ মদ, সিগারেট ও ফটোকপির মেশিন। দীর্ঘ দিন ধরে ১২১টি কন্টেইনারে এসব পণ্য আমদানির মাধ্যমে তারা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ১১৯৭ কোটি টাকা পাচার করেছে।

সহিদুল ইসলাম আরও বলেন, শুল্ক গোয়েন্দা চলতি বছরের ৭ নভেম্বর ৪৩১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে মেসার্স অ্যাগ্রো বিডি অ্যান্ড জেপির বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় ৯টি মামলা দায়ের করে। একই দিনে ৪৩৯ কোটি ১২ লাখ টাকা মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে হেনান আনহুই অ্যাগ্রো এলসির বিরুদ্ধে একই থানায় দায়ের করা হয় ৬টি মামলা। ৫ দিন পর ১২ নভেম্বর পল্টন থানায় ২৯০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে হেব্রা ব্র্যাংকোর বিরুদ্ধে আরও ৭টি মামলা করা হয়।

তিনি জানান, দিদারুলের সহযোগী কবীর হোসেনের নামে গত ৩০ আগস্ট চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বন্দর থানায় ৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকার মানি লন্ডারিংয়ের মামলা দায়ের করেন।

এইচএম/একেএস

আরও পড়ুন