• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০১৯, ১০:৩৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১০, ২০১৯, ১০:৪৯ এএম

রুম্পার মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে সৈকতের ৪ বন্ধুকে খুঁজছে গোয়েন্দারা

রুম্পার মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে সৈকতের ৪ বন্ধুকে খুঁজছে গোয়েন্দারা
রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার -ফাইল ছবি

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে ঘনিষ্ঠ বন্ধু সৈকতের ৪ বন্ধুকে খুঁজছেন গোয়েন্দারা। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। তবে তারা সকলেই একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গণমাধ্যম শাখার প্রধান মাসুদুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, রিমান্ডে থাকা সৈকত জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে তিনি ছাড়া আর কে কে ছিলেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।

অপরদিকে সৈকতকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদকারী এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, ঘটনার দিন সিদ্ধেশ্বরীতে আয়শা কমপ্লেক্সের ছাদে সৈকতের সঙ্গে আরো ৪ জন উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই সৈকত এবং রুম্পার বন্ধু। রুম্পা-সৈকতের বিরোধ মীমাংসা করতেই ওই ভবনের ছাদে তাদের ডেকে আনেন সৈকত। তবে তাদের ভূমিকা কি ছিল, তারা রুম্পাকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে কি না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনার পর থেকে ওই ৪ বন্ধু পলাতক। খুব শিগগিরই তারা ধরা পড়বে।

জিজ্ঞাসাবাদে সৈকত আরও জানান, ৯ মাস আগে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। রুম্পা অনুরোধ করলেও সৈকত সম্পর্ক রাখতে রাজি ছিলেন না। তাদের মনোমালিন্য বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। ঘটনার দিন বিকালে দুজনে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বাইরে দেখা করেন। তাদের সম্পর্কের মীমাংসা করতেই রাত পৌনে ১১টায় সৈকত তার কয়েকজন বন্ধুসহ রুম্পার সঙ্গে আয়শা কমপ্লেক্সের ছাদে দেখা করে। সেখানে শালিসীর এক পর্যায়ে রুম্পা ওই ভবন থেকে নিচে পড়ে যান। সেখানেই প্রাণ হারান রুম্পা। অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত ছাদ থেকে নেমে তারা সকলেই আত্মগোপনে চলে যায়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) রাজীব আল মাসুদ বলছেন, রুম্পাকে ভবন থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। যদিও এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত সে ব্যাপারে পরিবার ও তদন্ত সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে সম্ভাব্য সব দিক গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে সিদ্ধেশ্বরীর সার্কুলার রোডে দুটি ভবনের মাঝখানে অজ্ঞাত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে যায়। পরে রুম্পার মোবাইলের কললিস্টের সূত্র ধরে প্রেমিক সৈকতকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। রাতভর গোয়েন্দা কার্যালয়ে রেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরদিন রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হলে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে গোয়েন্দারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে। এঘটনায় সৈকত ছাড়া আর কাউকে গ্রেফতারে সক্ষম হয়নি গোয়েন্দারা।

এইচএম/একেএস

আরও পড়ুন