• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০১৯, ০৮:০১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১০, ২০১৯, ০৮:০১ পিএম

বাছাইয়ে বাদ ৪৫২ চাকরি প্রার্থী

দুদকের অভিযানে মিলেছে সত্যতা

দুদকের অভিযানে মিলেছে সত্যতা

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক অফিসার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (টোল ফ্রি হটলাইন- ১০৬) আগত এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ অভিযানে নামে। সরেজমিন অভিযানকালে দুদক টিম জানতে পারে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্টাফ অফিসার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যার জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৫৫৩ জন প্রার্থী নিয়মানুযায়ী আবেদন করেন। পরবর্তীতে লিখিত পরীক্ষার জন্য ১০১ জনকে বাছাই করা হয়। বাছাই পর্বেই বাদ দেয়া হয় ৪৫২ জনকে। ফলে এই ৪৫২ জন চাকরি প্রার্থী পরীক্ষা দিতে পারেননি। 

অভিযানের সময় দুদক টিম এর কারণ জানতে চাইলে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ জানায় যে, একটি কমিটির মাধ্যমে আবেদনকারীদের প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়, যাতে সিজিপি এর ভিত্তিতে প্রথম ১০১ জন প্রার্থী বাছাই করা হয়। এভাবে বাছাই করার জন্য কোনো লিখিত সিদ্ধান্ত বা সরকারি নির্দেশনা ছিল কিনা জানতে চাইলে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ দুদক টিমের কাছে তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়। সাধারণ আবেদনকারীদের পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ হতে বঞ্চিত করা হয়েছে মর্মে টিমের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত চেয়ে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে অভিযানকারী টিম। একই টিম কাস্টমস হাউজ, চট্টগ্রাম এ শিপিং এজেন্টদের কাছ হতে অবৈধভাবে ঘুষ গ্রহণ ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে আরও একটি অভিযান পরিচালনা করে।

এছাড়া, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে নতুন সংযোগ দেয়া, মিটার স্থাপন, লোড বৃদ্ধি, বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার পরিবর্তন সহ প্রতিটি সেবার জন্য বাড়তি অর্থ দেয়ার জন্য বাধ্য করার অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে বরিশাল জেলা কার্যালয়ের একটি টিম। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে নতুন সংযোগের জন্য আবেদন ফি ১০০ টাকা, সদস্য ফি ৫০ টাকা ও মিটার জামানত হিসেবে ৬০০ টাকা নেয়ার কথা থাকলেও প্রতিটি সংযোগে ঘুষ হিসাবে অতিরিক্ত দাবি করার প্রাথমিক প্রমাণ পায় দুদক টিম। অভিযানকালে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে অর্থ দাবির সময় দুই দালালকে আটক করে দুদক টিম। তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এছাড়াও শ্রীমঙ্গলে রেললাইনে ঝুঁকিপূর্ণ স্লিপার ব্যবহারের অভিযোগে এবং একটি রাজধানীর একটি সরকারি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যথাক্রমে হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয় এবং প্রধান কার্যালয় হতে দুটি পৃথক অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক।

এইচএস/টিএফ

আরও পড়ুন