• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০১৯, ০১:২৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১১, ২০১৯, ০১:২৪ পিএম

রুম্পার ৪ ঘণ্টার অবস্থান নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছেন গোয়েন্দারা

রুম্পার ৪ ঘণ্টার অবস্থান নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছেন গোয়েন্দারা
রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা - ফাইল ছবি
সৈকতের তথ্যে আসছে না তদন্তের সফলতা 

স্ট্যাম্পফোর্ডের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যুর রহস্য নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছেন গোয়েন্দারা। মৃত্যুর আগে সন্ধ্যা ৬টায় বের হয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত রুম্পার অবস্থান কোথায় ছিল- এর কোনো হদিস পাচ্ছে না গোয়েন্দারা। রুম্পাকে হত্যা করা হয়েছে না কি নিজে থেকে পড়েছেন, বিষয়টি মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাত পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। রুম্পার হাতে মুঠোফোন না থাকায় লোকেশন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়টি এখন তদন্তের মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে। 

মঙ্গলবার বিকালে মামলার তদারকি কর্মকর্তা ও রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ (ডিসি) কমিশনার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রুম্পার প্রেমিক সৈকতকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে, তার কাছ থেকে যেসব তথ্য মিলছে, তাতে মামলার তদন্তে কোনো সফলতা আসছে না। এ কারণে তদন্তের স্বার্থে মোড় ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে। গোয়েন্দাদের এখন অন্য কিছু নিয়েও ভাবতে হচ্ছে। 

প্রথমে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা ধারণা করেছিলেন রুম্পাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। তবে, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সেখানে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ওই বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, এটি প্রাথমিক প্রতিবেদন। বুধ কিংবা বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আসবে। এরপরই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে।

মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে রুম্পার লাশ পাওয়া যায়। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি বাসার নিচে জুতা পরিবর্তন করেন। চাচাতো ভাইয়ের কাছে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, আংটি, ভ্যানিটি ব্যাগ এবং স্বর্ণালঙ্কার দিয়ে তিনি বেরিয়ে যান। মাঝের ৪ ঘণ্টা তিনি কোথায় ছিলেন, এটিই প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কী হয়েছিল, তা-ই এখন তদন্তের বিষয়। এরই অংশ হিসেবে ঘটনার দিন সকাল থেকে রুম্পা কী কী কাজ করেছিলেন, কোথায় গিয়েছিলেন তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

এদিকে, চিকিৎসকের তথ্য মানতে নারাজ নিহত রুম্পার বাবা রোকন উদ্দিন। পুলিশের এই ইন্সপেক্টর বলেন, সঠিক তদন্ত হলে মৃত্যুর আগে রুম্পা যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে, তা বেরিয়ে আসবে। আর বাসা থেকে বের হওয়ার সময় রুম্পা কোথায় ছিল তা আমরাও বলতে পারব না। কেননা, সে তো মোবাইল ফোন রেখে যায়।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডের ৬৪/৪ বাসার সামনে রুম্পার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রুম্পা স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। এ ঘটনায় তার সাবেক প্রেমিক আব্দুর রহমান সৈকতকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দারা। সৈকত ৪ দিনের রিমান্ডে রয়েছে। 

এইচ এম/ এফসি

আরও পড়ুন