• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০১৯, ০৭:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১১, ২০১৯, ০৮:০৯ পিএম

চীনা নাগরিককে হত্যা, গাড়ি চালকসহ গোয়েন্দা হেফাজতে ৬

চীনা নাগরিককে হত্যা, গাড়ি চালকসহ গোয়েন্দা হেফাজতে ৬
গাউজিয়াং হুই -ছবি : জাগরণ

পদ্মা সেতুর কাজের পাথর সরবরাহ নিয়ে বিরোধের জের দরে ব্যবসায়ী গাউজিয়াং হুই (৪৭) নামে চীনা নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার গাড়ি চালক সুলতান আহমেদ, কেয়ারটেকারসহ ৬ জনকে গোয়েন্দা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সহকারী পুলিশ কমিশনার ডিবি মশিউর রহমাননিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে বনানীর ২৩ নম্বর সড়কের ৮২ নম্বর বাসার পেছন থেকে তার মাটিচাপা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে ডিএমপি গুলশান উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টা দিকে বাসায় ফেরেন তিনি। আজ বেলা ১১টার দিকে বাড়ির পেছনের ফাঁকা জায়গায় তার মাটিচাপা লাশ পাওয়া যায়। চুল ও পা বাইরে বেরিয়ে ছিল। কান ও মুখে রক্ত ছিল। গলায়ও দাগ আছে।

তিনি জানান, বাসার ভেতরে একটি কক্ষে জুতার ওপর কয়েক ফোটা রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। মূল দরজা খোলা ছিল। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

সুদীপ কুমার জানান, গাউ জিয়াং হুই পদ্মা সেতুতে পাথর সরবরাহ করছিলেন। এর আগে কাপড়ের ব্যবসা করতেন তিনি। থাকতেন রাজধানীর উত্তরায়। ১ বছর আগে সপরিবারে বনানীর এ বাসায় উঠেন তিনি। এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে ওই বাসায় থাকতেন গাউজিয়াং হুই। গত ২৩ অক্টোবর চীন থেকে ঢাকায় ফেরেন তিনি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) তার স্ত্রী-সন্তানদের ঢাকায় আসার কথা। এ ঘটনায় ড্রাইভার, সিকিউরিটি গার্ডসহ ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

এদিকে গোয়েন্দা কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেছেন, ঘটনাস্থলে গেলে বিষয়টি ডিবি উত্তরের কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে দ্রুত চীনা দুতাবাসের কর্মকর্তাদের জানানো হয়। এরপরই ঘটনান্থলে আসে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট ও গোয়েন্দারা। তারা ৬তলার বি ফ্ল্যাটে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের আলামত সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি তাৎক্ষণিক কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। 

এ বিষয়ে স্থানীয় সূত্র জানায়, বনানীর এই বাড়িটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকার সিসিটিভি স্থাপন প্রতিষ্ঠানের কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় গত ২৩ অক্টোবর কার্যকম বন্ধ করে দেয়। তবে সিসিটিভি থাকলেও তা রয়েছে অকার্যকর অবস্থায়। গোয়েন্দারা সিসিটিভির অকেজো থাকায় ভবনের গাড়িচালক, গার্ডসহ ৬ জনের তথ্যের উপর নির্ভর করছেন।


 সূত্র আরও জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাতের ৯টার দিকে গাউজিয়াং হুই বনানীর বাসায় আসেন। ৬ তলার বি ফ্ল্যাটেই তিনি অফিসিয়াল সকল কাজ করতেন। এ কারণে তার বাসায় ব্যবসায়িক লোকজন আসা-যাওয়া করতেন। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতেও তার বাসায় লোকজন এসেছিল। কে গেল বা কে রইল এ সকল বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা। পাশাপাশি ওই ফ্ল্যাটটি সিল করে দেয়া হয়েছে।  

বনানী থানার ওসি নুরে আযম দৈনিক জাগরণকে বলেন, নিহতের মরদেহ আপাতত হাসপাতাল মরচুয়ারীতে রাখা হচ্ছে। নিহতের স্ত্রী আগামীকাল চীন থেকে ঢাকায় আসছেন। এরপরই তার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হবে। তার স্ত্রীর সিদ্ধান্ত মতই মরদেহের সৎকার করা হতে পারে।

এইচএম/একেএস

আরও পড়ুন