• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২০, ০৫:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ৬, ২০২০, ০৫:০৮ পিএম

ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে

ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে

কুর্মিটোলায় নিপীড়নের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মিলেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরের পর জানিয়েছেন, ভিকটিমের শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তার গলা চেপে ধরা হয়েছিল। গলা, হাত, গালসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন আছে।

তিনি বলেন, তার শরীরে ধর্ষণের আলামত পেয়েছি। একজন করেছে, না একাধিক ব্যক্তি ছিল- তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।

দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। কুর্মিটোলা বাসস্টেশনে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। মাঝপথে তাকে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ঘটে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরে ওই ছাত্রীর। পরে তিনি রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা রাত পৌনে ১টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, তাকে ঝোঁপঝাড়ের ভেতরে ফেলার সময় ঝোঁপের গাছের খোঁচায় তার (ছাত্রীর) শরীরের বিভিন্ন জায়গা ছিলে যাওয়ার মতো হয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনার এক পর্যায়ে ভিকটিম জ্ঞান হারায়। জ্ঞান ফিরে এলে সে দেখে ধর্ষক সেখানে তখনও উপস্থিত। ধর্ষক পেছনে ফিরে মেয়েটির ব্যাগে কিছু একটা খোঁজাখুঁজি করছিল। সেই সুযোগে মেয়েটি সেখানে থেকে পালিয়ে আসে।

ধর্ষণের ঘটনায় সোমবার সকালে ক্যান্টনমেন্ট থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা।

দুপুরে ঢাকা মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকরা নমুনাও সংগ্রহ করেন।

ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, শারীরিকভাবে ওই তরুণী শঙ্কামুক্ত। যেহেতু তার শরীরে বড় ধরনের কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই, ফলে দুএকদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠবে।

বাইরের কেউ এসে যেন ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলতে বা দেখা করতে না পারে, সেজন্য ওসিসির সামনে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এফসি

আরও পড়ুন