• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২০, ০৩:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ৭, ২০২০, ০৩:৫৪ পিএম

সিসিটিভি ভিডিও সংগ্রহ 

ধর্ষককে দেখলে চিনতে পারবেন ঢাবি শিক্ষার্থী

ধর্ষককে দেখলে চিনতে পারবেন ঢাবি শিক্ষার্থী
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাবি শিক্ষার্থীকে ধষণের স্থান - ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী যে স্থানে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, এর আশপাশের কয়েকটি সিসিটিভি ভিডিও পুলিশ সংগ্রহ করেছে। সেগুলো পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। দ্রুতই ধর্ষককে গ্রেফতারের বিষয়ে তারা আশাবাদী বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে এসে ডিসি সুদীপ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সবার একটাই লক্ষ্য, ধর্ষককে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা।

ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থী জানিয়েছেন আসমিকে দেখলে তিনি চিনতে পারবে। একথা বলেছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম। মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীকে দেখতে তিনি হাসপাতালে যান। এসময় তিনি ওই শিক্ষার্থীর সাহস ও বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করে সাংবাদিকদের বলেন, মেয়েটি দেরি না করে ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে। আলামত নষ্ট হতে দেয়নি। এখন পরীক্ষা করে ডিএনএ মিলিয়ে প্রকৃত ধর্ষককে শনাক্ত করা কঠিন হওয়ার কথা নয়।

তিনি বলেন, মেয়েটি যেহেতু আসামির চেহারার একটি বর্ণনা দিতে পারছে, অবিলম্বে একটি স্কেচ এঁকে আসামি শনাক্ত ও গ্রেফতার করার ব্যবস্থা যাতে করা হয় সেটা আমি বলেছি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ওই শিক্ষার্থীর সার্বিক অবস্থা উন্নতির দিকে। সোমবার (৬ জানয়ারি) ৭ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী গতকাল থেকে স্বাভাবিকতার দিকে এগোচ্ছেন এবং তার মানসিক শক্তি ধীরে ধীরে বাড়ছে। মেডিকেল বোর্ড চাইলে দুই-তিন দিনের মধ্যেই বাড়ি যাওয়ার জন্য তাকে ছাড়পত্র দেয়া যেতে পারে।

রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ওই শিক্ষার্থী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। কুর্মিটোলা বাসস্টেশনে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। মাঝপথে তাকে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ঘটে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরে ওই ছাত্রীর। পরে তিনি রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা রাত পৌনে ১টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

মেয়েটির দেয়া বর্ণনা থেকে পুলিশ ধারণা পেয়েছে, ধর্ষণকারী একজনই, তার বয়স ২৫-৩০ বছরের মতো। মেয়েটির বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় যে মামলা করেছেন, সেখানেও একজনকেই আসামি করা হয়েছে।

এফসি

আরও পড়ুন