• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২০, ০৫:২১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ৮, ২০২০, ০৫:২১ পিএম

২০১৯ সালে যৌন নির্যাতনের শিকার ১৩৮৩ শিশু

২০১৯ সালে যৌন নির্যাতনের শিকার ১৩৮৩ শিশু
‘স্টেট অব চাইল্ড রাইটস ইন বাংলাদেশ-২০১৯’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে শিশু-নির্যাতনের তথ্য তুলে ধরা হয়-ছবি : জাগরণ

২০১৯ সালে যৌন নির্যাতনের শিকার ১ হাজার ৩৮৩ শিশু। বিভিন্ন সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার  ৪ হাজার ৩৮১ শিশু। এর মধ্যে অপমৃত্য শিকার ২ হাজার ৮৮ শিশু। প্রতিদিন প্রায় ১২ জন শিশু বিভিন্ন রকমের সহিংসতার শিকার।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এর সাগর-রুনি মিলনায়তনে শিশু ফোরাম (বিএসএএফ) আয়োজিত ‘স্টেট অব চাইল্ড রাইটস ইন বাংলাদেশ-২০১৯’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে জানান হয়, শিশু নির্যাতন ও সহিংসতা কমলেও যৌন নির্যাতনের হার বেড়েছে ৭০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এ হিসেবে প্রতিমাসে গড়ে প্রায় ৮৪ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

১৫টি জাতীয় দৈনিক পর্যালোচনা করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানান সংগঠনটির পরিচালক আবদুছ সহিদ মাহমুদ।

তিনি জানান, শিশু নির্যাতনকে ৬টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো- অপমৃত্যু, যৌন নির্যাতন, অপহরণ, নির্যাতন ও সহিংসতা, আঘাতে মৃত্যু ও বাল্যবিবাহ।

সহিদ জানান, ২০১৫-২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ১৩৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গড়ে প্রতি মাসে ৫২টির বেশি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এসব ঘটনায় হওয়া মামলার মধ্যে গত ৫ বছরে মাত্র ১৬৪ মামলার রায় হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, ময়মনসিংহ ও গাজীপুরে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ ঢাকায়, ১১৬ শিশু।

সহিদ আরও জানান, ২০১৯ সালে শিশু হত্যা বেড়েছে ৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। গড়ে প্রতি মাসে ৩৭ শিশু হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তুচ্ছ ঘটনা, পারিবারিক সহিংসতা, দাম্পত্য কলহ ও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে শিশুর প্রাণ গেছে।

গত ৫ বছরের মধ্যে ২০১৯ সালে শিশু হত্যার ঘটনা ছিল সবচেয়ে বেশি। ২০১৯ সালে ৪৪৮ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। যেখানে ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ৪১৮।

শিশু ফোরামের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম। এ সময় ইউএনডিপির জেন্ডার এক্সপার্ট বিথিকা হাসান উপস্থিত ছিলেন।

নাসিমা বেগম বলেন, শিশুদের প্রতি সহিংসতার বিষয়ে সমাজের সচেতনতা প্রয়োজন। শুধু রাষ্ট্র একা এর মোকাবেলা করতে পারবে না। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

আত্মীয়-স্বজন এবং শিক্ষকের দ্বারা যৌন নির্যাতন বিষয়ে তিনি বলেন, একজন শিক্ষক যদি ধর্ষক হয় সমাজে আর কি থাকে? বর্তমানে শোনা যায় আত্মীয়-স্বজনের দ্বারাও শিশুরা যৌন হয়রানির শিকার হয়। আগে তো এমন হতো না, এখন তাদের মস্তিষ্কে কি ধরনের বিকৃতি ঘটে যার জন্য তারা এমন করে?

তিনি বলেন, বাংলাদেশ অন্যান্য বিষয়ে যেমন রোল মডেল, নারী শিশু সহিংসতা বন্ধেও রোল মডেল হোক এটাই প্রত্যাশা।

এইচএম/এসএমএম

আরও পড়ুন