• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২০, ০৩:৪৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১১, ২০২০, ০৩:৫২ পিএম

রাজধানীতে ৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দম্পতি গ্রেফতার 

রাজধানীতে ৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দম্পতি গ্রেফতার 

২১টি ভুয়া সঞ্চয়পত্র তৈরি ও গ্রাহকদের প্রদানের মাধ্যমে ৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গ্রেফতারকৃত দম্পতি হলেন- এইচ এম এ বারিক ওরফে বাদল ওরফে বাদল হাওলাদার ওরফে মোস্তাক আহমেদ এবং তার স্ত্রী মুরশিদা আফরীন।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সিআইডির সদর দফতরে সিআইডির ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াডের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

সিআইডি জানায়, গত কয়েক বছরে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ২১টি ভুয়া সঞ্চয়পত্র জমা দিয়ে দুটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে এক দম্পতি। এ ঘটনার সঙ্গে এবি ব্যাংকের ধানমণ্ডি শাখার তৎকালীন ম্যানেজার জড়িত ছিল।
উক্ত দম্পতি জালিয়াতি করে ঢাকায় একাধিক বাড়ি ও অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে। দম্পতির নামে গুলশান-২ এ প্রায় ১০০ কোটি টাকা মূল্যে একটি ৯ তলা বাড়ি, একাধিক ফ্ল্যাট, গাড়ি ও জমির তথ্য পেয়েছি।

তিনি জানান, ২০০৪ সালে এবি ব্যাংক থেকে এভাবে জালিয়াতি অর্থ হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় তার সাজাও হয়েছে। তখন থেকেই মোস্তাক হাওলাদার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ভারতে পালিয়ে ছিল। ২০১১ সালে গোপনে দেশে এসে আবার জালিয়াতি শুরু করে। ১৬ বছর ধরে পলাতক মোস্তাককে খুঁজছিল পুলিশ। ওই মামলায় এবি ব্যাংকের ধানমন্ডি ব্রাঞ্চের তৎকালীন ম্যানেজার আসিরুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০০৬ সালে তিনমাস কারাভোগ করেন তিনি। পরবর্তীতে সে জামিনে মুক্ত হলে হৃদরোগে মারা যান। তবে এর সঙ্গে ব্যাংকের আর কোনো কর্মকর্তা জড়িত আছে কি না? তা তদন্ত করে দেখছে সিআইডি।

ব্যাংক থেকে ভুয়া সঞ্চয়পত্র দিয়ে ঋণ নিয়ে অর্থ আত্মসাতের এই ঘটনায় দুদক ২০০৪, ২০১১ ও ২০১৬ সালে ঢাকার গুলশান, ধানমণ্ডি, উত্তরা পশ্চিম ও মোহাম্মদপুর থানায় ৭টি মামলা দায়ের করে। মামলাগুলো সিআইডি তদন্ত করছে।

সিআইডির তদন্ত সূত্র জানিয়েছে, চক্রটির মূলহোতা একজন শিল্পপতি। তার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ব্যবসা ছিল। তবে তদন্তের স্বার্থে ওই শিল্পপতির নাম গোপন রাখা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাৎ করে শিল্পপতি হয়েছেন। তার পরিচয় পেয়েছে সিআইডি। শিগগিরই তাকে গ্রেফতার করা হবে।

এইচএম/একেএসা

আরও পড়ুন