চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের ডেসপাস শাখায় এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়ে জানায় সংশ্লিষ্ট শাখা কর্মকর্তা।

৬০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি আদালতে জমা দেন পিবিআই এর পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম।

এর আগে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে আলোচিত এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সালমান শাহ হত্যাকাণ্ডের শিকার হননি, তিনি পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন।

বনজ কুমার মজুমদার বলেন, তদন্তকালে ঘটনার সময় উপস্থিত ও ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ৪৪ সাক্ষীর জবানবন্দি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় লিপিবদ্ধ করা হয়। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করা হয়। ঘটনা সংশ্লিষ্ট আলামত জব্দ করা হয়। এসব বিষয় পর্যালোচনায় দেখা যায়, চিত্রনায়ক সালমান শাহ পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন। হত্যার অভিযোগের কোনও প্রমাণ মেলেনি।

পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহের আত্মহত্যার পাঁচটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো- চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে সালমানের অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা, স্ত্রী সামিরার সাথে দাম্পত্য কলহ, মাত্রাধিক আবেগপ্রবণতার কারণে একাধিকবার আত্মঘাতী হওয়ার বা আত্মহত্যার চেষ্টা, মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা জটিল সম্পর্কের বেড়াজালে পড়ে পুঞ্জীভূত অভিমানে রূপ নেয়া এবং সন্তান না হওয়ায় দাম্পত্য জীবনে অপূর্ণতা।

এসএমএম