• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২০, ১০:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১০, ২০২০, ১০:১৫ পিএম

সাহেদের দেশত্যাগ ঠেকাতে বেনাপোলে সতর্কতা

সাহেদের দেশত্যাগ ঠেকাতে বেনাপোলে সতর্কতা

কোভিড-১৯ চিকিৎসার নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্ত রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদ যাতে সীমান্তে পেরিয়ে দেশত্যাগ করতে না পারে সে জন্য যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়া বেনাপোল ও শার্শার বিভিন্ন সীমান্তেও সতর্কাবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শুক্রবার (১০ জুলাই) সকাল থেকে সীমান্তে সতর্কতার বিষয়টি ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।

জানা যায়, বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও সীমান্ত পথে বিভিন্ন কৌশলে ভারতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই এ সীমান্ত পথ দিয়ে সাহেদ করিমের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাকে একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। তবে করোনার সময়ে এ সুযোগ একেবারে বন্ধ থাকলেও এই প্রতারককে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার নুন্যতম সুযোগ না দিতেই সীমান্তে সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও সীমান্ত এলাকা ঘুরে পুলিশ ও বিজিবির নজরদারি ও সতর্কতা দেখা গেছে। তবে করোনাভাইরাসের সময় কোনো নাগরিককে ভারত যেতে দেয়া হচ্ছে না। কোনোভাবেই যাতে অবৈধভাবে কেউ সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান কবির বলেন, মামলা হওয়া আসামিরা এমনিতেই দেশত্যাগ করতে পারবে না। এছাড়াও বর্তমানে করোনাভাইরাসের জন্য আমরা কোনো বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীকে ভারত যেতে দিচ্ছি না বা ভারত ইমিগ্রেশনও গ্রহণ করছে না। সাহেদ করিম যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে সে জন্য আমাদের কাছে সতর্ক থাকার জন্য বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) বিকেলে একটি চিঠি এসেছে।

যশোর ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম রেজা ও খুলনা ২১ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মনজুর-ই-এলাহী জানান, অপরাধীদের অবৈধ পথে পালিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অপরাধী যাতে কোনোভাবে সীমান্ত পথে অবৈধভাবে চলে যেতে না পারে সে জন্য বিজিবি সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করছে।
এসকে