মানবিক বিভাগে পড়েও নামের আগে বসিয়েছেন ডাক্তার। ৩ বছর ধরে দেখছেন রোগী, লিখছেন প্রেসক্রিপশন, চালাচ্ছেন এসএইচএস হেলথ কেয়ার নামে একটি হাসপাতাল। এসব কারণেই এর মালিক শওকত হোসেন সুমনকে ২ বছরের জেল ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ডেমরার এসএইচএস হেলথ কেয়ার হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এখানে নেই কোনও ল্যাব। রোগীদের দেয়া হচ্ছিল মনগড়া রিপোর্ট। এর মালিক শওকত হোসেন সুমন। পড়েছেন মানবিক বিভাগে, পরে নামের সঙ্গে ডাক্তার জুড়ে দিয়ে রোগী দেখেছেন নিয়মিত। দিয়েছেন ভুল চিকিৎসা ও প্রেসক্রিপশন। যদিও তার দাবি রোগী দেখেন না তিনি।
শুধু যে ভুয়া ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা হচ্ছে তাই নয়, রোগীদের দেয়া হচ্ছে নিষিদ্ধ ওষুধ। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেছে ফার্মেসিতে। এখানে কার্বন-ডাই-অক্সাইড সিলিন্ডারের দেয়া হয়েছে অক্সিজেন, তাও মেয়াদোত্তীর্ণ। এতে বিস্ফোরণের ঝুঁকি আছে যে কোনও সময়।
এসব অনিয়মের দায়ে মালিক শওকত হোসেন সুমনের হয়েছে দুই বছরের জেল ও দুই লাখ টাকা জরিমানা। নানা মেয়াদে সাজা হয়েছে প্যাথলজি টেকনিশিয়ান ও ফার্মাসিস্টের।
হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে এক বছর আগে। অভিযান শেষে সিলগালা করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
কেএপি