• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২০, ০৭:০১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৫, ২০২০, ০৭:৪২ এএম

র‍্যাবের থাবায় রিজেন্ট প্রতারণা চক্রের মূলহোতা মো. সাহেদ

র‍্যাবের থাবায় রিজেন্ট প্রতারণা চক্রের মূলহোতা মো. সাহেদ
র‍্যাবের হাতে আটক রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা চক্রের মূলহোতা মো. সাহেদ

অবশেষে দেশের এলিট টাস্কফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) থাবায় বন্দি হলো করোনা চিকিৎসার নামে ঘৃন্য প্রতারণা আর জালিয়াতি তৎপরতার পাশাপশি ভয়াবহ দুর্নীতি সিন্ডিকেটের মূলহোতা, রিজেন্ট হাসপাতাল প্রধান ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ।

বুধবার (১৫ জুলাই) ভোরে র‍্যাবের একটি চৌকস ইউনিট বিশেষ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে তাকে গ্রেফতার করে। সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটার রামগতি সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে সাহেদকে।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সাতক্ষীরার সীমান্তের দেবহাটা থানার সাকড় বাজারের পাশে অবস্থিত লবঙ্গপতি এলাকায় একটি নৌকার ভেতর লুকিয়ে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। সাহেদকে সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হবে।

তিনি জানান, সাহেদ ভারতে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করছিল। সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদী তীর সীমান্ত থেকে আনুমানিক ৫.০০ থেকে ৫.৩০ এর দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগেও একবার একই সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়েছিলো সে। সকাল নয়টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে তাকে ঢাকায় আনা হবে।

এর আগে রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বিকালে গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সরকারের সঙ্গে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে টাকার বিনিময়ে করোনাভাইরাস শনাক্তের নমুনা সংগ্রহ করা এবং ভুয়া সনদ দেওয়ার অভিযোগ ৬ জুলাই র‌্যাব রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়। পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় র‌্যাব বাদী হয়ে মো. সাহেদকে এক নম্বর আসামি করে মামলা করে।

সেই মামলায় ৯ দিন পলাতক থাকার পর গ্রেফতার হলেন মো. সাহেদ।

ওই মামলায় সাহেদকে প্রধান আসামি করে মোট ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। সে সময় প্রধান আসামিসহ ৯ জন আসামিকে পলাতক দেখিয়ে এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ।

আসামিরা হলেন রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজ, রিজেন্ট হাসপাতালের কর্মী তরিকুল ইসলাম, আবদুর রশিদ খান জুয়েল, মো. শিমুল পারভেজ, দীপায়ন বসু, আইটি কর্মকর্তা মাহবুব, সৈকত, পলাশ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আহসান হাবীব (১), হেলথ টেকনিশিয়ান আহসান হাবীব (২), হেলথ টেকনোলজিস্ট হাতিম আলী, অভ্যর্থনাকারী কামরুল ইসলাম, রিজেন্ট গ্রুপের প্রকল্প প্রশাসক মো. রাকিবুল ইসলাম, রিজেন্ট গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা অমিত বণিক, রিজেন্ট গ্রুপের গাড়িচালক আবদুস সালাম ও নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রশিদ খান।

এসকে