• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২০, ১০:৪৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৩, ২০২০, ১০:৪৪ পিএম

ভাড়ার নামে হোটেল দখল করেন সাহেদ

ভাড়ার নামে হোটেল দখল করেন সাহেদ

স্বাস্থ্যখাতকে নাজুক করতে সাহেদ ব্যবহার করেছিলেন হোটেল ব্যবসাকেও। অন্যের কাছ থেকে ভাড়া নেয়া হোটেল নিজের নামে চালিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন। আর এর সূত্র ধরেই হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা। সেইসাথে হোটেলের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করে সেটি নিজের নামে হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টাও করেছিলেন তিনি।

 
কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল। এটিও রক্ষা পায়নি সাহেদের প্রতারণা থেকে। একাজে সে ব্যবহার করেছে, হোটেল মিলিনাকে। হাসাপাতালের নথি ঘেঁটে দেখা যায়, হোটেলটিকে রিজেন্ট ডিসকভারি ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তি করেন সাহেদ। করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের নার্স ও ডাক্তারদের রাখা হতো হোটেলটিতে।

 
কিন্তু শুরু থেকেই ছিলো নানা অনিয়মের অভিযোগ। ডাক্তার ও নার্সরা না খেলেও বিল করতেন সাহেদ। এভাবে দুমাসে খাবারের খরচ বাবদ ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৫৫০ টাকা বিল নিয়েছেন তিনি। হাসপাতাল সুপারিন্টেন্ডের দাবি, সাহেদের এই অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলিমুজ্জামানের অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।

সাহেদ গ্রেপ্তারের পরদিন থেকেই বন্ধ মিলিনা হোটেল। হোটেলের মালিকের দাবি ভাড়া নিয়ে নানা অপকর্ম করতো সাহেদ। ঢুকতে দেয়া হতো না তাকেও। তার অভিযোগ, নিজের আধিপত্য ধরে রাখতে উত্তরায় বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী দল পালতো সাহেদ।

এমইউ

আরও পড়ুন