• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২০, ০৭:০৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৪, ২০২০, ০৭:০৫ পিএম

সাহেদের উত্থানের ‘বুস্টার’ পদত্যাগী স্বাস্থ্য ডিজি

সাহেদের উত্থানের ‘বুস্টার’ পদত্যাগী স্বাস্থ্য ডিজি
বাঁ থেকে- রিজেন্ট চেয়ারম্যান সাহেদ ও পদত্যাগী স্বাস্থ্য ডিজি ডা. আব্যল কালাম আজাদ

রিজেন্ট হাসপাতালকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কীভাবে একের পর এক সুযোগ সুবিধা দিয়ে গেছে, তা নিয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, সাহেদকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সদ্যসাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ অত্যন্ত ক্ষমতাবান ব্যক্তি হিসেবে মূল্যায়ণ করতেন এবং অধিদপ্তরেও সেভাবেই উপস্থাপন করতেন। তিনিই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাহেদকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের লোক হিসেবে। তিনি বলেছিলেন যে, সাহেদ অত্যন্ত ক্ষমতাবান এবং সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। এভাবেই সাহেদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আধিপত্য বিস্তার করে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেছেন যে, অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালকের কক্ষে তাদের ডেকে পাঠানো হতো এবং সাহেদকে একজন বিজ্ঞ সুধীজন হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হতো। এটাও বলা হতো যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, তিনি যেভাবে বলেন, সেভাবেই কাজ করতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এখন রিজেন্ট কেলেঙ্কারি নিয়ে যে তদন্ত করছে, সেই তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানাও স্বীকার করেছেন যে, সাহেদের ব্যাপারে তার উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। এ কারণেই তিনি সাহেদের ব্যাপারে প্রথম অভিযোগ নিপসম থেকে পাওয়ার পরেও রিজেন্টের করোনা পরীক্ষার জালিয়াতি বন্ধ করেননি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানাও স্বীকার করেছেন যে, সাহেদের ব্যাপারে তার উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। এ কারণেই তিনি সাহেদের ব্যাপারে প্রথম অভিযোগ নিপসম থেকে পাওয়ার পরেও রিজেন্টের করোনা পরীক্ষার জালিয়াতি বন্ধ করেননি।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, সাহেদ সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদকে অভয় দিতেন এবং তার চাকরি অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বস্ত করতেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিভিন্ন কূটনৈতিক ব্যক্তির নাম বলে বলতেন যে, তাদের সাথে কথা হয়েছে এবং তাদের আস্থায় ডিজি আছেন। এ কারণেই সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদ তাকে বেশি করে খাতির যত্ন করতেন।

উল্লেখ্য যে, সাহেদের সঙ্গে কেবল চুক্তিই করেননি সাবেক ডিজি তাকে সিএমএসডি থেকে অবৈধভাবে বেশকিছু সরকারি সরঞ্জামাদি রিজেন্ট হাসপাতালে ব্যবহারের জন্যেও দেওয়া হয়েছিল, যেটি ফৌজদারি কার্যবিধিতেও একটি অপরাধ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা বলছেন যে, আবুল কালাম আজাদ মনে করতেন সাহেদকে খুশি রাখতে পারলেই তার চাকরি পোক্ত থাকবে। করোনার শুরু থেকেই তাকে নিয়ে নানারকম বিতর্ক শুরু হয়েছিল। তাকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারেও বিভিন্ন মহল থেকে কথা বার্তা হচ্ছিল। এ সময় আবুল কালাম আজাদ মনে করছিলেন যে, সাহেদকে খুশি রাখতে পারলেই তিনি তার পদে বহাল থাকতে পারবেন।

এসকে