• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২০, ০২:৪৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৫, ২০২০, ০৪:১৪ পিএম

মেজর (অব.) সিনহা নিহতের ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে পরিবারের মামলা

মেজর (অব.) সিনহা নিহতের ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে পরিবারের মামলা

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনায় আজ বুধবার আদালতে মামলা করেছে পরিবার। পরে আদালত মামলাটি তদন্ত করার জন্য র‌্যাবের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ দুপুরের দিকে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করা হয়। এতে টেকনাফের আলোচিত পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ মোট নয়জনকে আসামি করা হয়।

আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মামলা করতে নিহত রাশেদ খানের বোন শারমিন শাহরিয়াসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য আজ সকালে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌঁছান। তাঁরা প্রথমে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে যান। সেখান থেকে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মোস্তফার চেম্বারে পৌঁছান। সেখানে কাগজপত্র প্রস্তুত করার পর দুপুরের দিকে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়ে মামলা করেন।

মামলায় বাদী হয়েছেন শারমিন শাহরিয়া। এতে মোট আসামি করা হয়েছে নয়জনকে। প্রধান আসামি টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী। দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে। আদালত পরে মামলাটি তদন্তের জন্য র‌্যাবের প্রতি নির্দেশ দেন।

কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কেই ঈদের আগের রাতে (শুক্রবার) হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়া মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান (৩৬)। পুলিশের দাবি, আত্মরক্ষার্থেই তাদের গুলি ছুড়তে হয়েছে। পুলিশের ভাষ্য, তল্লাশিচৌকিতে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান রাশেদ খান। একপর্যায়ে তিনি পিস্তল বের করে গুলি করতে উদ্যত হলে আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতেই তিনি নিহত হন।

তবে রাশেদ খানের পরিবার বলছে, স্পষ্টতই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। রাশেদ খানের সাবেক সহকর্মীরাও এ ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। এই মৃত্যুকে নিছক ‘আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ার’ ঘটনা হিসেবে দেখছেন না তাঁরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া না দেখাতে নিজেদের সদস্যদের পরামর্শ দিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেখানে কোনো বাগ্‌বিতণ্ডা হয়নি। গাড়ি থেকে নামার সময় কোনো জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই রাশেদ খানকে গুলি করেন পুলিশের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) লিয়াকত আলী। ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার পর গত রোববার শামলাপুর চেকপোস্টের ইনচার্জ লিয়াকত আলীসহ ১৬ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আদালতে মামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নিহত রাশেদ খানের পরিবারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অবশ্য সোমবার রাতে তাঁর বোন শারমিন শাহরিয়া বলেছিলেন, ‌‌‘এটা স্পষ্ট একটা হত্যাকাণ্ড। আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তো ভাইকে আর বাস্তবে পাব না। আমরা চাই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। যারা জড়িত, তাদের বিচার হোক।’

এসকে