• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২০, ০২:৪০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৬, ২০২০, ০২:৪৪ এএম

প্রত্যাহার ইস্যু নিয়ে ধুম্রজাল

‘অসুস্থতাজনিত’ কারণে ছুটিতে ওসি প্রদীপ কুমার

‘অসুস্থতাজনিত’ কারণে ছুটিতে ওসি প্রদীপ কুমার
ওসি প্রদীপ কুমার দাস। ইনসেটে - মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ

কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনায় কক্সবাজার জেলা আদালতে একটি হত্যামামলা দায়ের করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।

বুধবার (৫ আগস্ট) স্থানীয় বাহারছড়া পুলিশ চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়। যার প্রেক্ষিতে ওসি প্রদীপকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে তথ্য জানান পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তা।

সূত্রের তথ্য মতে, উল্লেখিত হত্যামামলাটি দায়েরের পর টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাসকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার স্থলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা (তদন্ত বিভাগ) এবিএমএস দোহাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয় বলেও জানানো হয়।

দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রকাশিত সংবাদে বিষয়টির উল্লেখ করে- বর্তমানে দায়িত্বরত ওসি দোহার বরাতে সংশ্লিষ্ট তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে। 

তবে উল্লেখিত বিষয়টি সম্পর্কে টেকনাফ থানায় যোগাযোগ করলে জানা যায় ভিন্ন তথ্য। থানার দায়িত্বে থাকা বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএমএস দোহা জানান, মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) অসুস্থতাজনিত কারণে দাপ্তরিকভাবে ছুটি গ্রহণ করেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। যার প্রেক্ষিতে থানার সেকেন্ড সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন ওসি (তদন্ত) দোহা।

পরে বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার পুলিশের এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে মঙ্গলবার ছুটি নেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাস।

তবে এসময় তাদের কেউ-ই ওসি প্রদীপ কুমার দাসের প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিষয়টি উল্লেখপূর্বক কোনো মন্তব্য করেননি।

এদিকে স্পর্শকাতর এই সাবেক সেনা কর্মকর্তার নিহত হবার ঘটনায় সরকার, সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের তৎপরতার মাঝেই ওসি প্রদীপের প্রত্যাহার সংক্রান্ত ইস্যুতে এমন তথ্যবিভ্রাটে রীতিমত বিস্ময় প্রকাশ করেছে বিভিন্ন মহল।

উল্লেখিত ইস্যু প্রসঙ্গে বিশেষ মহলের দাবি, একটি হত্যামামলার এজহারভুক্ত একজন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে রক্ষায়, বিশেষ কোনো মহল সুপরিকল্পিতভাবে সরকার, সেনা ও পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায়কে বিতর্কিত করতে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়ার ধৃষ্টতা প্রদর্শন করছে। এই ধৃষ্টাচারীতার বিষয়টি প্রমাণ সাপেক্ষে কুচক্রিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক কঠোরব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় বিষয়টি সরকার, প্রশাসন তথা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে অপশক্তির উত্থানকে অনুপ্রাণিত করবে।

গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা। জানা যায়, সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা ভ্রমণ বিষয়ক একটি তথ্যচিত্র নির্মাণের জন্য কক্সবাজারে গিয়েছিলেন।

এসকে