• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২০, ০৭:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৪, ২০২০, ০৭:৫৩ পিএম

ডিবি পুলিশের পরিচয়ে ছিনতাই করাই তাদের পেশা

ডিবি পুলিশের পরিচয়ে ছিনতাই করাই তাদের পেশা

ওরা ১১ জন। ডিবি পুলিশের পরিচয়ে ছিনতাই করাই তাদের পেশা। তারা দাপিয়ে বেড়ায় ঢাকা শহরের সর্বত্র। ডিবি পুলিশের পরিচয়ই ছিল তাদের প্রধান কৌশল। এমনই একটি ছিনতাইচক্রের ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।


এরা হলো, সরোয়ার হোসেন ওরফে সরোয়ার খাঁ, দুলাল (৩৮), আনোয়ার গুলদার (৪২), আমির (৩৮), নাছির হাওলাদার (২৮), ইমন ওরফে কাজল কুমার দে (২৮), ইকবাল (৩৪), সোহাগ খান (২৩), জাকির হোসেন (৩৮), সুমন (৩০) ও রমজান (২৭)।

তাদের কাছ থেকে একজোড়া হ্যান্ডকাপ, ২টি ডিবির জ্যাকেট ও ছিনতাই করা টাকা উদ্ধার করা হয়।

সোমবার ডিএমপির লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনের পুলিশের এসি সাইফুল আলম মুজাহিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত ১৭ আগস্ট সকালে জনসন রোডে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে পথ গ্রেপ্তারে ৫৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এ চক্রের সদস্যরা। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলের আশাপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ১৯ আগস্ট ভোরে রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে সোহাগকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ১১ ছিনতাইকারী গ্রুপের সন্ধান পায় পুলিশ।

ওইদিনই গাজীপুরের টঙ্গী থানার দত্তপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের সদস্য ইকবাল, জাকির ও সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসি কোতোয়ালি আরো বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২০ আগস্ট ভোরে টঙ্গীর চেরাগ আলী থেকে সরোয়ার খাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সরোয়ারকে নিয়ে পল্টন ও নর্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুলাল, আনোয়ার, আমির, নাসির, ইমন ও রমজানদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিনেই গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডের আবেদনসহ ঢাকা মহানগর আদালতে তোলা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সোহাগ, ইকবাল ও দুলাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অন্য ৮ জন অভিযুক্তকে ৪ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গ্রেপ্তারকৃতদের অপরাধের কৌশল সম্পর্কে এসি সাইফুল আলম মুজাহিদ বলেন, তারা একটি গ্রুপ তৈরি করে প্রতিদিন সন্ধ্যায় ঠিক করে নেয় কোন এলাকায় ছিনতাই করবে। সে অনুযায়ী নির্দিষ্ট এলাকায় অবস্থান নিয়ে টার্গেটকে অনুসরণ করে। এরপর ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে টার্গেটের দেহ তল্লাশি করার নাম করে টাকা পয়সা ও মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।


এম
 

আরও পড়ুন