• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০১৯, ০৬:২৮ পিএম

আরডিএ বগুড়ায় চাকরি দেয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

আরডিএ বগুড়ায় চাকরি দেয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

 

বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ) তে চাকরি দেয়ার প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে আরডিএ’র ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম মন্টুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আরডিএর নিরাপত্তা প্রহরী বাদি হয়ে মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারী শাজাহান আলী আরডিএ কৃষি ফার্মে চাকরির জন্য আরডিএ’র ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম মন্টুকে অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা দেন। চুক্তি ছিল বাকি আড়াই লাখ টাকা নিয়োগপত্র পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিশোধ করবেন। চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ২০১৭ সালের ৭ জানুয়ারী ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা নেয় এবং ওপরের স্যারদের দেবে বলে জানায়। এরপর ২ ফেব্রুয়ারী ১৭ নিরাপত্তা প্রহরী পদবী পরিবর্তন করে মালির পদে চাকরি দেয়া হয়। পরবর্তীতে সেই নিয়োগ হওয়ার পরেও কোনো সাড়া পায়নি শাজাহান। পুনরায় সে আগের পদে বহাল থাকতে বলে। পরে কোনো উপায় না পেয়ে তাকে টাকার জন্য বললে তিনি বিভিন্নভাবে হুমকি দেন।

এ প্রেক্ষিতে মনিরুল ইসলাম মন্টুকে দেওয়া টাকার প্রমাণ মোবাইল ফোন ও মেমোরি কার্ডে রয়েছে জানতে পেরে মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। এর আগে ০৫/০৫/২০১৬  উক্ত একাডেমীতে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। উক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৩নং ক্রমিকে হোটেল অ্যাটেনডেন্ট পদে আবেদন করলে পরীক্ষার কার্ড ইস্যু করা হয়। কার্ড অনুযায়ী যথারীতি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন শাহজাহান।

পরবর্তীতে উক্ত পদে চাকরি হয়েছে মর্মে নিয়োগপত্র প্রদর্শন করে যোগদান করতে কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ মহাপরিচালক বলেন। সে অনুযায়ী গত ২২/৩/২০১৭  যোগদান করে হাজিরা রেজিস্ট্রারে হোটেল অ্যাটেনডেন্ট হিসাবে স্বাক্ষর করে তাদের কথামতো জনতাব্যাংকে একটি হিসাব খোলা হয়। কিন্তু মহাপরিচালক ও পরিচালক প্রশাসন পরবর্তীতে নিয়োগপত্র না দিয়ে বরং যোগদান পত্রটিও সরিয়ে ফেলে। এ ব্যাপারে মহাপরিচালক এমএ মতিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো মন্তব্য করেন নি।

এসসি/এসজেড