• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০, ০১:৪৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০, ০১:৪৪ পিএম

এমসি কলেজে গণধর্ষণ

ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিলো ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর

ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিলো ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর

সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে নববধূকে ছাত্রাবাসে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামি ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্করও গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা থেকে সাইফুর এবং হবিগঞ্জের মাধবপুরের মনতলা থেকে অর্জুনকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে, ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান ছাতক সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিল। আজ সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক শহর সংলগ্ন নোয়ারাই ইউনিয়নের নোয়ারাই খেয়াঘাট থেকে ছাতক থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ঘটনার পর পরই সে ছাতক চলে আসে। ভারতে পালানোর সুযোগ খুঁজতে থাকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ধর্ষক সাইফুর রহমান সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাই নিবাসী তাহিদ মিয়ার পুত্র। বর্তমানে (৫ম ব্লক, এমসি কলেজ হোস্টেল সুপারের বাংলো) শাহপরান সিলেটের বাসিন্দা।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে এক দম্পতি বেড়াতে যান। রাত ৯টার দিকে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী স্বামীকে মারধর করে স্ত্রীকে ছিনিয়ে ছাত্রাবাসে চলে যায়। পরে স্বামী পিছু পিছু গেলে তাকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ৫-৬ জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ওই গৃহবধূকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উক্ত ঘটনায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে ছয় জনের নাম উল্লেখ করে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগকর্মী সাইফুর রহমান, মাহফুজুর রহমান, তারেক আহমদ, শাহ মাহবুবুর রহমান রনী, রবিউল ইসলাম ও অর্জুন লস্করকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে সাইফুর ও অর্জুন গ্রেফতার হলেন। পুলিশ বলছে, বাকিদেরও শিগগিরই গ্রেফতার করতে পারবেন তারা।

জাগরণ/এমআর