• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০১৯, ০৬:০৬ পিএম

রাজধানীতে ভেজাল বিরোধী অভিযানে ৩ জনের কারাদণ্ড 

রাজধানীতে ভেজাল বিরোধী অভিযানে ৩ জনের কারাদণ্ড 
ছবি: প্রতীকী

 

রাজধানীতে খাদ্যে ভেজাল করার অপরাধে ৩ জনকে কারাদণ্ড ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৫টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

সোমবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪টি অঞ্চলে দ্বিতীয় দিনের মতো এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

দৈনিক জাগরণকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন, ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়।

অভিযান ঢাকা অঞ্চল-১ এর আওতাধীন শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটের সিলভানা রেস্টুরেন্টের মালিক মোস্তফা কামালকে ২৭৩ দণ্ডবিধিতে ৩ দিনের সশ্রম কারাদণ্ড, মৌমিতা রেস্টুরেন্টকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং বিসমিল্লাহ হোটেলের মালিক আলতাফ হোসেনকে একই ধারায় ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড  দেয়া হয়।

এদিকে ঢাকা অঞ্চল-২ এর আওতায় কাকরাইল নাইটিঙ্গেল মোড় এলাকায় পরিচালিত অভিযানে নিউ ঢাকা কাবাব অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট মালিক মুজিবর রহমানকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড, ডায়মন্ড রেস্টুরেন্টকে ৪১ধারায় এক লাখ টাকা, কড়াই গোস্ত রেস্টুরেন্টকে এক লাখ টাকা, দস্তরখানা রেস্টুরেন্টকে একলাখ টাকা এবং কস্তুরী  রেস্টুরেন্টকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ঢাকা অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন আজিমপুর ছাপড়া মসজিদ এলাকার ডেলিশাস ফুডকে ১০ হাজার, হোটেল রোজ হ্যাভেনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মোহন চাঁদ, আনন্দ, মিঠাই ও হরিপদ মিষ্টান্ন ভান্ডার এবং হক  বেকারীকে সতর্ক করা হয়।

ঢাকা অঞ্চল-৪ এর ইসলামপুর এলাকায় অমূল্য মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ৪০ হাজার এবং অন্য ৩টি প্রতিষ্ঠানকে আরও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে রোববার (১৩ জানুয়ারি) থেকে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে সপ্তাহব্যাপী ভেজালবিরোধী স্পেশাল ক্র্যাশ  প্রোগ্রাম শুরু করেছে ডিএসসিসি।

ডিএসসিসির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন রোববার থেকে সপ্তাহব্যাপী এ ভেজাল বিরোধী স্পেশাল ক্র্যাশ প্রোগ্রাম উদ্বোধনকালে বলেন, খাদ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা বিভিন্ন সময় জরিমানা করলেও ভেজাল বন্ধ করতে সক্ষম হইনি। তাই আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে খাদ্যে ভেজাল প্রমাণিত বা প্রতীয়মান হলে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করবো, সেটা প্রতীকী হলেও করবো। এখন কোনো প্রতিষ্ঠানের খাবারে ভেজাল প্রমাণিত হলে তাকে  জেলে পাঠানো হবে। সেটা অল্প সময়ের জন্য হলেও তাকে জেলে যেতে হবে। সে সঙ্গে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে।

এইচ এম/বিএস