• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২১, ০৪:০৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৫, ২০২১, ১০:৩৪ পিএম

দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

রিমান্ডে নারীকে যৌন নির্যাতন

রিমান্ডে নারীকে যৌন নির্যাতন
প্রতীকী ছবিঃ- বাংলাদেশ পুলিশ

বরিশাল ব্যুরো 

হত্যা মামলার নারী আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগের ঘটনায় বরিশালের উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান ও পরিদর্শক (তদন্ত) মাইনুল হোসেনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 
বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আখতারুজ্জামান সোমবার বেলা ২টায় এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই দুই কর্মকর্তাকে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। ডিআইজি আরও জানান, নারী আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে পরিদর্শক (তদন্ত) মাইনুল হোসেনকে এবং দায়িত্বে অবহেলার জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে। 

এর আগে উজিরপুর থানার পরিদর্শক মাইনুল হোসেনসহ দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের জন্য গত রোববার রেঞ্জ অফিসের পুলিশ সুপার কাজী সোয়াইব আহমেদকে প্রধান এবং জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেনকে সদস্য করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটিকে ৩দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। 

বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি নারী আসামীর শারীরিক অবস্থার প্রতিবেদন আদালতে পাঠিয়েছেন। তবে ওই আাসমীকে নির্যাতন করা হয়েছে কি-না সে ব্যাপারে জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, নির্যাতনের অভিযোগ করা নারী উজিরপুর উপজেলার জামবাড়ি এলাকায় বাসুদেব চক্রবর্তী ওরফে টুলু হত্যা মামলার একমাত্র নামধারী আসামি।

আদালতসূত্র জানায়, গত ২৬ জুন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জামবাড়ি এলাকা থেকে বাসুদেব চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার ভাই বরুণ চক্রবর্তী ওই দিনই থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয় এক নারীকে। যার সঙ্গে তার ভাইয়ের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেন বরুণ।

এ মামলার আসামি হিসেবে ওই দিন সেই নারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। থানা পুলিশের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ জুন বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উজিরপুর আমলি আদালত নারী আসামির দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড শেষে গত ২ জুলাই ওই নারীকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তাকে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখে এর কারণ জানতে চান আদালত। ওই নারী আদালতের কাছে তাকে শারীরিক এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন পুলিশের বিরুদ্ধে। আদালত একজন নারী কনস্টেবল দিয়ে তার দেহ পরীক্ষা করে শারীরিক এবং যৌন নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতা পান।

এর পর আদালত তার যথাযথ চিকিৎসা প্রদান এবং তাকে নির্যাতনের বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে। পরিচালক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন যাতে আঘাতের চিহ্নের কথা উল্লেখ রয়েছে।

জাগরণ/এসকেএইচ