ঊর্মি আক্তার। বয়স ১৪। রাজধানীর একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো। প্রেমের ফাঁদে ফেলে একটি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস করায় উর্মি আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। সোমবার সকালে রাজধানীর সবুজবাগ থাকায় আত্মহত্যার প্ররোচনা ও ডিজিটাল আইনে মামলা করা হয়েছে। ঊর্মির বাবা বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
ঊর্মির মামা রাজিব বলেন, ঊর্মি উত্তর বাসাবোতে আমাদের বাসায় থেকে পড়াশোনা করতো। কিন্তু একই এলাকার ফাহিম নামে একটি ছেলে তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল চিত্র ধারণ করে। ফাহিম ও শামীম নামে আরেকটি ছেলে ওই ভিডিও দেখিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেল করে আসছিলো। বেশ কয়েকবার তার কাছ থেকে টাকাও নিয়েছে।
এরপরও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিও ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় ওর মা তাকে বকাবকি করে। পরে রোববার রাতে সে গলায় ফাঁস দেয়। আমরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দুই বোনের মধ্যে সে ছিল বড়।
ঊর্মির মৃত্যুর ঘটনায় অপরাধীদের শাস্তি চেয়েছেন তার পরিবারের লোকজন। তবে এ বিষয়ে ফাহিম ও শামীমের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জাগরণ/এসকেএইচ