• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২১, ০৩:২৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২, ২০২১, ০৯:৩০ পিএম

সেই চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষকের বিরুদ্ধে মামলা

সেই চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষকের বিরুদ্ধে মামলা

রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেফতার হওয়া দেশি-বিদেশি সংস্থার ভুয়া প্রতিনিধি পরিচয়ে ইশরাত রফিক ঈশিতার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কথিত এ তরুণ চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষক ঈশিতা ও তার সহযোগী দিদারের নামে সকালে র‍্যাব-৪ বাদী হয়ে মিরপুরের শাহ আলী থানায় এসব মামলা দায়ের করে।

সোমবার (২ আগস্ট) র‍্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ঈশিতার বিরুদ্ধে একটি ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে, একটি প্রতারণা এবং একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৩, ২৪ ও ৩৫ ধারায় মামলা হয়েছে।

শাহ আলী থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, দুই মামলায় পাঁচদিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আসামী ঈশিতা ও দিদারকে আজ বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হবে। আরেকটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে র‍্যাবের হাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেফতার হন উচ্চাভিলাষী তরুণ চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষক ওরফে বিশিষ্ট আলোচক ওরফে ডিপ্লোম্যাট ওরফে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওরফে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ইশরাত রফিক ঈশিতা (আইপিসি)।

রোববার (১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘র‍্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখা ও র‍্যাব-৪ এর অভিযানে রোববার সকালে রাজধানীর শাহ আলী থানাধীন মিরপুর-১ হতে ঈশিতাকে (৩৪) সহযোগী শহিদুল ইসলাম ওরফে দিদারকে (২৯) গ্রেফতার করা হয়।’

র‍্যাব জানায়, ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হতে ২০১৩ সালে (সেশন ২০০৫-২০০৬) এমবিবিএস সম্পন্ন করে ২০১৪ সালে মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে যোগদান করেন তিনি। তবে চার মাস চাকরি না করতেই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে চাকুরিচ্যুত হন উচ্চাভিলাষী ইশরাত রফিক ঈশিতা। এরপরই শুরু তার বহুমুখী প্রতারণা। নিজেকে চিকিৎসা শাস্ত্রের বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষক হিসেবে পরিচয় দেন। এমপিএইচ, এমডি, ডিও’সহ নানা ভুয়া বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি ব্যবহার শুরু করেন। ভুয়া ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ হিসেবেও বিভিন্ন মতবাদ প্রচার করতে থাকেন। এজন্য বিভিন্ন সাইটে চিকিৎসা শাস্ত্রে গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ, আর্টিকেল বা থিসিস পেপারসহ ভুয়া প্রকাশনাও ব্যবহার করেন।


জাগরণ/এমইউ
 

আরও পড়ুন