• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০১৯, ০৭:১৯ পিএম

দুদকের অভিযানে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৩ জন হাতে-নাতে গ্রেফতার

দুদকের অভিযানে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৩ জন হাতে-নাতে গ্রেফতার

 

দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্নীতি ও ঘুষের টাকাসহ সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩ জনকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। 

ঘুষের টাকাসহ গ্রেফতার হয়েছেন কিশোরগঞ্জ ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার গিয়াস উদ্দিন। জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ বিতরণের এক মামলায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার সোনালী ব্যাংকের ভাটিয়া পাড়া শাখার কর্মকর্তা আকতার হোসেনও গ্রেফতার হয়েছেন। আর সরকারি চাল আত্মসাৎ করা অভিযোগে বরিশাল সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমানুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে দুদক।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত অভিযুক্তদের নিজ নিজ জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ১১টায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় থেকে সার্ভেয়ার গিয়াস উদ্দিনকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতে-নাতে গ্রেফতার করে দুদকের একটি বিশেষ টিম।

কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা এম এ হাকিম শাহ লিখিত অভিযোগ করেছিলেন গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ আমলে নিয়ে দুদক ময়মনসিংহের বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক কামরুল হাসানের তত্ত্বাবধানে অভিযান চালিয়ে ওই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় দুদকের ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধর বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এদিকে সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার সোনালী ব্যাংকের ভাটিয়া পাড়া শাখার কর্মকর্তা আকতার হোসেনকে বিভিন্ন ভুয়া ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে জালিয়াতির মাধ্যমে ২ কোটি ৫৫ লাখ ৭ হাজার টাকা ঋণ দেখিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে দুদকের একটি বিশেষ টিম। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর ছয় জনকে আসামি করে কাশিয়ানি (গোপালগঞ্জ) থানায় দুদক একটি মামলা দায়ের করে। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক রাজ কুমার সাহা।

এছাড়া সরকারি চাল আত্মসাৎ করায় বরিশাল সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমানুল্লাহকে বরিশাল শহরের চৌমাথা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে দুদকের টিম। তার বিরুদ্ধে দুদকের একটি মামলা ছিল। ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ভিজিডি কার্ডধারী স্থানীয় ২৫১ জনকে ২০ কেজি করে কম চাল দিয়ে প্রায় ৫ মেট্রিক টন চাল আত্মসাৎ করেন আমানুল্লাহ। এই চালের বাজারমূল্য ১ কোটি ৮২ লাখ ২৬ হাজার টাকা। গত বছরের ২৭ নভেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল হাসেম কাজী বাদী হয়ে দুই জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এইচএম/এসজেড