মহামারী করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্ব যখন চরম সংকটের মুখে ঠিক সেই সময় এই কোভিড-১৯ ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জান ও বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল ইনফরমেশন হাতিয়ে নিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বেশকিছু অসাধু চক্র। শুরু থেকেই দেশ-বিদেশে ছোট-বড় নানা ক্ষেত্রে এমন অপতৎপরতা চোখে পড়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশে তারই একটি অভিনব পায়তারা সামনে এসেছে। যেখানে টেলিকমিউনিকেশন ও ডিজিটাল পন্থাকে কাজে লাগিয়ে চলছে অপতৎপরতার চেষ্টা। এক্ষেত্রে প্রথমেই নির্ধারিত ব্যক্তির মোবাইল নম্বরে শর্ট মেসেজ সার্ভিস (এসএমএস)-এর মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে ক্ষুদে বার্তা। যেখানে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত জাতিসংঘের কোভিড-১৯ প্রণোদনা কার্যক্রমের অধীনে ৭৫০ মার্কিন ডলার অনুদান প্রাপ্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। যার প্রেক্ষিতে উক্ত ব্যক্তিকে info@centralemergencyprogram.com এই ঠিকানায় একটি ই-মেইল প্রেরণের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে বলা হয়।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) একটি এয়ারটেল নম্বর থেকে এমন এসএমএস প্রেরণের মাধ্যমে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তিকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলার অপচেষ্টা চালনো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে উক্ত ব্যক্তি সামাজিক সচেতনার কথা বিবেচনায় বিষয়টি দৈনিক জাগরণকে অবগত করেন সঙ্গে পাওয়া গেছে
তবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে যে, জাতিসংঘ এবং প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে কর্তব্যরত এর কোনো সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে কোভিড-১৯ প্রণোদনা প্রদান সংক্রান্ত এমন কোনো কর্মসূচি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়নি। এমনকি বাংলাদেশে অবস্থিত জাতিসংঘের কার্যলয় এবং ইউএনভি'র অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইটেও এমন কোনো তথ্যের উল্লেখ নেই। যার প্রেক্ষীতে ঘটনাটি প্রতারণামূলক বলেই নিশ্চিত হওয়া যায়।
জনস্বার্থ বিবেচনায় এ প্রসঙ্গে দেশের সকল নাগরিককে সচেতন থাকার অনুরোধ জানাচ্ছে দৈনিক জাগরণ।
এসকে