• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০১৯, ০৮:০৫ পিএম

চাঁদা-টেন্ডারবাজির শিকার হলে পুলিশে খবর দিন : ডিএমপি কমিশনার

চাঁদা-টেন্ডারবাজির শিকার হলে পুলিশে খবর দিন : ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া- ফাইল ছবি

 

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, কেউ ব্যবসা করতে গিয়ে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির শিকার হন, তাহলে সাথে সাথে পুলিশকে জানান। চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ ও অগ্নিসন্ত্রাস থেকে আপনাদের রক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। আর রাষ্ট্রের হয়ে কাজ করবে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে ডিএমপি সদর দফতরে এক অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তিনি।

অপরাধ দমনে ও দৈনন্দিন টহল কাজের জন্য পুলিশের মোবিলিটি (চলাফেরা) বাড়াতে অনুষ্ঠানে ডিএমপিকে দুইটি হিউম্যান হলার উপহার দেয় আবাসন মালিকদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং সোসাইটি অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।

ডিএমপি কমিশনারের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়ি দুইটির চাবি হস্তান্তর করেন রিহ্যাবের চেয়ারম্যান আলমগীর শামসুল আলামিন। এ সময় ডিএমপির ও রিহ্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নগরবাসীর উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আমাদের পাশে থাকুন। যেভাবে আমরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, অগ্নিসন্ত্রাস দমন করেছি, ঠিক সেভাবে চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যূ, টেন্ডারবাজ ও মাদকসহ অন্যান্য ট্র্যাডিশনাল অপরাধ দমন করবো। ঢাকা মহানগরীর ৮০ লাখ মানুষের ডাটাবেজ পুলিশের সংগ্রহে রয়েছে। এই ডাটাবেজ সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে।

কমিশনার বলেন, পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে সরকার। এ ছাড়া সামাজিক দায়-বদ্ধতা থেকে পুলিশকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসছে রিহ্যাবের মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। দ্রুত জন-নিরাপত্তা দিতে ডিএমপির প্রতিটি থানায় বাড়ানো হয়েছে সরকারি গাড়ির সংখ্যা। বর্তমানে থানার সেবার মান অনেক ভালো। যদি জন-নিরাপত্তা ও জন-শৃঙ্খলা ঠিক না থাকে, তাহলে কোনো উন্নয়নই কাজে আসবে না।

পুলিশ বাহিনীকে ভ্যান উপহার দেয়ায় রিহ্যাবকে ধন্যবাদ জানিয়ে কমিশনার আছাদুজ্জামান বলেন, নাগরিক হিসেবে, রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও সামাজিক দায়-বদ্ধতা থেকে নাগরিকদের নিরাপত্তায় ডিএমপিকে দুটি হিউম্যান হলার দিয়েছে রিহ্যাব। গাড়ি দুটি জন-নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

রিহ্যাবের চেয়ারম্যান আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি জনবহুল দেশে পুলিশের সংখ্যা কম, সেই সঙ্গে দেশের সম্পদও কম। তারপরও পুলিশ যেভাবে নিরাপত্তা দিচ্ছে তা প্রশংসনীয়। জঙ্গি ও মাদকবিরোধী অভিযানে রয়েছে পুলিশের অনেক সাফল্য। রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করতে গিয়ে আমরা সব সময় পুলিশের সহযোগিতা পেয়েছি। রিহ্যাব সব সময় পুলিশের পাশে আছে এবং থাকবে।

এইচএম/এসএমএম