• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯, ০৫:০৯ পিএম

সিইসি সঠিক হেদায়েত ও শুভবুদ্ধি থেকে বঞ্চিত ব্যক্তি: রিজভী

সিইসি সঠিক হেদায়েত ও শুভবুদ্ধি থেকে বঞ্চিত ব্যক্তি: রিজভী
রিজভী আহমেদ ; ফাইল ফটো


‘উপজেলা নির্বাচনগুলোতে বড় রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ না করা হতাশাজনক’ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার এ বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। 

তিনি বলেন, দেশে মিড নাইট নির্বাচনের প্রধান কারিগর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা। তিনি মিড নাইট নির্বাচনের যে নজির সৃষ্টি করেছেন, তারপরেও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো আগামী নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণ করবে তা তিনি কি করে আশা করতে পারেন! সিইসি নূরুল হুদা সঠিক হেদায়েত ও শুভবুদ্ধি থেকে বঞ্চিত একজন ব্যক্তি।

রোববার বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী আহমেদ। 

তিনি বলেন, সিইসি পরিচালিত নির্বাচনে একমাত্র শেখ হাসিনা ও তার পরিষদই উল্লসিত হয়েছেন। দেশ-বিদেশের সবাই ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে শুধু হতবাকই হয়নি, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে তারা ওই নির্বাচনের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন। 

তিনি বলেন, এই সিইসি ভোটারদের প্রতারিত করে অভিনব মিড নাইট নির্বাচনের মাধ্যমে একটি  নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ববাদী একদলীয় রাষ্ট্র কায়েমে সহায়তা করেছেন। সিইসি ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পরে বলেন যে, ‘৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ছিল, উপজেলা নির্বাচনও একইভাবে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে।’ এর মাধ্যমে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে উপজেলা নির্বাচনের ভবিষ্যৎ। এই নির্বাচনও যে আগের দিন রাতেই অনুষ্ঠিত হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। 

রিজভী বলেন, আপনারা দেখছেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ। কোথাও কোন সাড়া-শব্দ নেই, মানুষ নীরব ও উৎসাহহীন। সিইসি গণতন্ত্রের কবর দিয়েছেন ২৯ ডিসেম্বরের রাতেই। তাই আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি, লজ্জা শরমের ধার ধারছেন না তিনি।  

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জার্মানিতে বলেছেন ‘বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিল’। মিড নাইট ভোটের সরকারের প্রধানমন্ত্রী সম্পূর্ণরূপে গণবিচ্ছিন্ন হওয়ার পর এখন আতঙ্কে ভুগছেন। ভোট ডাকাতি নিয়ে মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ যাতে না ঘটে সেটিকে বন্ধ করার জন্য সরকারি যন্ত্রকে যথেচ্ছ ব্যবহার করছেন। প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন বলেই সরকার বিরোধী দলকে কোন সভা-সমাবেশ করতে নানাভাবে বাধা দিচ্ছে। ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যরাতের ভোটের খবর যতই সরকার রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করে বাধা দিক না কেন সেই খবর চাপা পড়ে থাকবে না। দেশবাসীসহ বিশ্ববাসী সেই ভোটের খবর জেনে গেছে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পত্রিকা ইকোনমিস্ট মন্তব্য করেছে-বাংলাদেশের নির্বাচন ছিল স্বচ্ছ জালিয়াতি ও খোলামেলা কারচুপি। তাহলে প্রধানমন্ত্রী কিভাবে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে প্রশ্নহীন রাখবেন ? ইকোনমিস্ট কি কারো কথায় কোন সংবাদ-প্রতিবেদন তৈরি করে ? আপনি দেশের মানুষ ও গণমাধ্যমকে আতঙ্ক সৃষ্টি ও ভয় দেখাতে পারেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্বাধীন গণমাধ্যমগুলোর মুখ কি বন্ধ রাখতে পারবেন ?

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী ঘোষণা দিয়ে বলেন, বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আগামী উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। যদি কেউ দলের সিদ্ধান্ত বরখেলাপ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, শিরিন সুলতানা প্রমুখ।

টিএস/আরআই